ঘুরে দেখুন -পূণ্যভূমি সিলেট
👉পাহাড়, ঝর্ণা, চা বাগান খ্যাত পূণ্যভূমি সিলেট। চলুননা বেরিয়ে আসি সিলেট থেকে। হযরত শাহজালালের সিলেট অভিযানের সময়(১৩০৩ খৃঃ) গৌড় গোবিন্দ সুরমা নদীর মূল ভূখন্ডের চারপাশে এক পাথর প্রাচীর খাড়া করেছিলেন। হযরত শাহজালাল (রঃ) প্রাচীরের কাছে গিয়ে উচ্চ কন্ঠে হুক্কার দিলেন শিলহট্ট অর্থাৎ পাথর হটে যাও। অনেকে মনে করেন এই শিলা হট্ট থেকেই সিলেট নামের উৎপত্তি।
👌যেভাবে যাবেন ঃ ঢাকার সায়দাবাদ থেকে ঢাকা-সিলেট বিলাসবহুল বাসে যেতে পারেন। ট্রেনে যেতে হলে কমলাপুর যাবেন। সকাল ৮টার পারাবাতে উঠলে সুবিধে হবে। বিমানে গেলে আধা ঘন্টায় পৌছাতে পারবেন।
👋যেখানে থাকবেন ঃ স্টেশনে থেকে সরাসরি হোটেলে যাবেন। এব্যাপারে পর্যটন হোটেল, হোটেল হিল টাউন(তালতলা) হোটেল প্লাজায় উঠতে পারেন। চাং পাই চাইনিজ রেস্টুরেন্ট (জিন্দাবাজার) অথবা জয়নার কিং রেস্টুরেন্ট থেতে পারেন।
👎যা যা দেখবেনঃ
👇হযরত শাহজালালের মাজার ঃ ৩৬০ আউলিয়ার দেশে সিলেট। হযরত শাহজালের দেশে সিলেট। সিলেট শহরেই দেখবেন হযরত শাহজালাল ও শাহপরানের মাজার। এদুটি মাজার জেয়ারত করুন। মাজারের পুকুরে দেখবেন গজার মাছ।
👆 গোবিন্দ টিলা ঃ হিন্দু রাজা গৌড় গোবিন্দ ছিলেন অত্যাচারী শাসক । তার সাথে হযরত শাহজালের যুদ্ধ হয়। মাজারে পাশে টিলাটি দেখতে পারেন। এখানে ঘৌড় গৌবিন্দ বাস করতেন। একন ও কিছু ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
💁 আলী আমজাদের ঘড়ি ঃ সুরমা নদীর তীরেই দেখতে পাবেন আলী আমজাদের ঘড়ি। কুলাউড়ার প্রিথিম পাশার জমিদার আলী আমজাদ খান এ ঘড়ি স্থাপন করেছিলেন। বড় লটাকে চমকে দেয়ার জন্য ১৮৪৭ সালে তিনি এটি নির্মাণ করেন। এটি চাবি দিয়ে চালোনো হয়। বিদ্যুৎ বা ব্যাটারীর প্রয়োজন হয় না।
✋👩 কীন ব্রীজ ঃ সুরমা নদীর উপর এ ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে। কীণ ব্রীজকে কেউ কেউ সুরমা ব্রীজ ও বলে ব্রীজের আদলে তৈরি করা হয়েছে।
☝ওসমানী যাদুঘর ও শিশু উদ্যান ঃ কোটি পয়েন্টার কাছে নারপুলে দেখবেন ওসমানী যাদুঘর। এখাণে তার ব্যবহৃত বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী দেখতে পাবেন। দেকবেন ওসমানী শিশু উদ্যান। এখানে বিনোদনের জন্য ১৪টি আইটেম আছে। এগুলোর মধ্যে চলন্ত মিনি ট্রেন, সুপার চেয়ার, ভাইকিং বোট, রোলার স্টেটিং ওয়াটার স্লাইড ও প্যাডেল বোট অন্যতম।
💃গড় দুয়ারের ঢিবি ঃ শহরেই দেখবেন গড় দুয়ারের ঢিবি, এবং বেশী ভাগ স্থানে একনও অনেক দালান কোঠার ধ্বংসশেষ রয়েছে। ঢিবি সামনে ২০০০*১২০০ ফুট আয়তন বিশিষ্ট একটি দিঘি ছিল। বর্তমানে এটি সমতল হয়ে গেছে।
👾 জাফলং ঃ সিলেটের একটি অন্যতম পর্যটন আকর্ষন জাফলং। এটি সিলেট শহর থেকে ৬০কিঃ মিঃ দূরে তামাবিল সীমান্তবর্তী । খোয়াই নদীর তীরে যাবেন।
এখানে দেখবেন সারি সারি পাথর সাজানো। কয়েকটি পাথন ভাঙ্গার ক্রাসার মেশিন রয়েছে। পাথর শ্রমিকরা নদীতে ডুব দিয়ে পাথর উঠায়। আপনি এ নদীতে গোসল করতে পারেন। এখানে রং বেরঙের পাথর দেখতে পাবেন। সোনালী রঙের চকচকে পাথর।
👧 খাসিয়া পল্লী ঃ জাফলং এ দেকতে পারেন ঐতিহ্যবাহী খাসিয়া পল্লী। খাসিয়াদের জীবন যাপন প্রণালী ভিন্ন রকম। তাদের রয়েছে আলাদা সংস্কৃতি। আপনি খাসিয়া পল্লীতে ঘুরাফেরা করে বিচিত্র অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন। বাঁশ দিয়ে তৈরি উচু বাড়িগুলো দেখতে খুবই চমৎকার। খাসিয়া পানের কদর দেম জুড়ে। আপনি ইচ্ছে করলে সেখানে থেকে পান নিয়ে আসতে পারেন।
💁শ্রী চৈতান্য মন্দির ঃ সিলেট শহর থেকে ৪৫ কিঃ মিঃ দক্ষিনে পূর্বে অবস্থিত ঢাকা দক্ষিনে এখানে শ্রী চৈতান্য দেব নিজ হাতে শ্রী শ্রী বিশ্বাম্বর মূর্তি স্থাপন করেন। এ মন্দিরের বয়স প্রায় ৫০০ বছর। এখানে প্রতি বছর ফাল্গুনী পুর্নিমাতে হাজার হাজার ভক্ত সমবেত হয়।
👹 জৈন্তাপুরের রাজ বাড়ী ঃ সিলেট শহর থেকে জৈন্তাপুর বাজারে একটি পুরাতন বাড়ী দেখবেন। এটি রাজা যশোমানিক রাজার বাড়ী। এখানে একটি বৈধ্যভূমি রয়েছে। এখানে নরবলী দেয়া হতো।
লাকাতুয়া চা বাগান দেখার মাধ্যমে আপনি সিলেট ভ্রমন শেষ করতে পারেন। এটি দেখার পর বাড়ী ফেরার পালা। হাত আরেকটু সময় থাকলে এসসি কলেজ এবং ঈদগাহটি দেখে নিন।
মমিনুল ইসলাম মোল্লা

0 Comments