বিদেশী বন্ধুদের বাংলাদেশের বিশ্ব-ঐতিহ্যে সুস্বাগতম
বিভাগ- ভ্রমণ
মমিনুল ইসলাম মোল্লা
পর্যটনখাতে বিপুল সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। এদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে ঢাকায় এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়ান পর্যটন মেলা (এটিএস)। ২৯, ৩০ সেপ্টম্বর ও ১ অক্টোবর আয়োজিত এ মেলা উপলক্ষে বহু বিদেশেী বাংলাদেশে আসছেন । এছাড়া চাকুরি, ব্যবসা ও ভ্রমণ উপলক্ষে বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের লোকজন আসেন ।
১৯৮৫সালে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কো বাংলাদেশের বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ , নওঁগার পাহারপুর বিহার এবং ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ঘোষিত বাংলাদেশের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী এসব স্থানে বিদেশী বন্ধুদের সুস্বাগতম।
পাহারপুরঃ পাহাড়পুরের পুরাকীর্তি এলাকাটির আয়তন ৪০ একর । তবে বিহার অঙ্গণের অয়তন ২৭ একর। বিহারের মূল দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করুন। এটি বিহারটির উত্তর ব্লকের ঠিক মাঝখানে । বাইরের দিকের দরজাটি ছিল ছিল বেশ বড়। এই দরজা পার হলেই একটি বড় হল ঘর চোখে পড়বে। এই হলঘরটির মাপ ছিল ৫৩*৪৭ ফুট। এর দুই পাশে দুটি কামড়া ছিল। বড় হল ঘরের পর পড়ত ছোট হল ঘর। এর মাপ ছিল ৩৭*২৪ ফুট। বিহারগুলো তৎকালীন সময়ে ছিল উচ্চ শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র। পাল আমলে তৎকালীন বাংলায় ৫০টির ও অধিক বিহার ছিল। সোমপুর বিহার চতুর্ভজাকৃতির । এটি উত্তর -দক্ষিণে ৯২২ ফুট। এবং পূর্ব পশ্চিমে ৯১৯ ফুট লম্বা। এটি চারদিকে ১৬ ফুট প্রশস্থও ১২ থেকে ১৫ ফুট উঁচু প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত ।সারিবদ্বভাবে চারটি সারিতে ১৭৭টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে উত্তর সারিতে ৪৫ টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়া পূর্ব পশ্চিমে ও দক্ষিণ সারিতে ৪৪টি কক্ষ রয়েছে। এ কামরাগুলোতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বাস করতেন। কামরাগুলোর সামনে ছিল ৮/৯ ফুট চওড়া টানা বারান্দা । এখানে ভিকক্ষুদের পাশাপাশি ছাত্রদের ও থাকার ব্যবস্থা ছিল। ছাত্রদের প্রতিটি কক্ষের আয়তন ১৪*১৩ ফুট। এবিহারটি ছিল আন্তর্জাতিক মানের। এখানে শুধু মাত্র এ অঞ্চলের ছাত্ররাই লেখাপড়া করতোনা। চীন , ভারত , ইন্দোনেশিয়া থেকেও ছাত্ররা উচ্চ শিক্ষ লাভের জন্য এখানে আসত। এ বিহারের ব্যাপারে তিব্বতের বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ ”পাগ –সাম জোন-ঝাং”এ সুইচ্চ মন্দিরসহ বিহারটির কথা উল্লেখ আছে। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পন্ডিতগন বলতেন-জগতের একমাত্র নয়নমুগ্ধকর শোভা।
এখানে একটি কেন্দ্রীয় মন্দির রয়েছে। এটি পিরামিড আকৃতিতে তৈরি। এটি উত্তর -দক্ষিণে ৩৫৬ ফুট ৬ ইঞি আর পূর্ব -পশ্চিমে ৩১৪ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা। এর বর্তমান উচ্চতা ৭২ ফুট। এখানে ৬ষ্ট -৮ম শতকের ৪টি উন্নত মানের মূর্তি পাওয়া গেছে। প্রাচীরের নীচের দিকে ৬৩টি প্রস্তর ভাস্কর্য আবিষ্কৃত হয়েছে। উত্তর দেয়ালে ২২টি এবং দক্ষিণ দেয়ালে ৪১ টি মূর্তি রয়েছে। মন্দিরের গায়ের ট্যারাকোটাগুলো মন্দিরটিকে অনন্য শোভা দান করেছে। এতে ২০০০ ট্যারাকোটা রয়েছে।
যেভাবে যাবেন ঃ ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু ব্রিজ পার হয়ে জয়পুরহাট যাবেন। নওঁগা জেলা সদর থেকে ৩৪ কিলোমিটার উত্তরে পাহাড়পুর অবস্থিত। অথবা জয়পুরহাট হতে বাস বা টেম্পোতে ১০ কিলোমিটার দুরে পাহারপুর বাজারে নেমে পূর্বদিকে ৪০০ মিটার যাবেন। জয়পুহোটে রাত্রি যাপন করলেই আপনার জন্য ভাল হবে। তবে পাহাড়পুরে প্রতœত্ত বিভাগের রেস্ট হাইজ আছে।এখানে থাকতে হলে ঢাকা অথবা বগুড়ার প্রতœত্ত বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হবে। জয়পুরহাট থাকতে চাইলে হোটেল পূরবী , সৌরভ , তাজ কিংবা হোটেলশাপলায় থাকতে পারেন।
ষাট গম্বুজ মসজিদ
খুলনা শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে এবং বাগেরহাট জেলা শহর থেকে ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে বাগেরহাট খুলনা মহাসড়কের পাশেই মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদটির বাইরের দিকের আয়তন, উত্তর-দক্ষিণে ১৬০ ফুট এবং পুর্ব পশ্চিমে ১০৪ ফুট। এছাড়া ভেতরের দিকের আয়তন ১৪৩*৮৮ফুট এবং উচ্চতা ২২ ফুট। মসজিদের দেয়ালগুলো বেশ মজবুত। মসজিদটির দেয়ালের পুরুত্ব ৮ফুট। এত বেশি পুরত্বের দেয়াল সম্ভবত কোন মসজিদে নেই। জুতা খুলে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করুন। খেয়াল করে দেখুন এটি ৭টি আইল ও ১১টি ব্যাতে বিভক্ত। এটি ষাট গম্বুজ মসজিদ নামে পরিচিত হলেও প্রকৃতপক্ষে এর গম্বুজের সংখ্যা আরো বেশি। এ মসজিদে ৭০টি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজগুলো ৬০টি থামের উপর প্রতিষ্ঠিত। তাই অনেকে একে ৬০ গম্বুজ মসজিদ বলে থাকেন। এছাড়া তখন ফার্সি ভাষা প্রচলিত ছিল,ফার্সি ভাষায় স্তম্ভ^ বা খুঁটিকে গম্বুজ বলা হয় । তাই এটি ষাট গম্বুজ মসজিদ নামে পরিচিত।
ছাদের দিকে তাকালে লক্ষ্য করবেন-এর গম্বুজের সংখ্যা সত্তর। এছাড়া রয়েছে ৭টি চৌচালা ছাউনি গম্বুজ। এ মসজিদে কোন শিলালিপি নেই। তাই এটি কে কবে নির্মাণ করেছিলেন তা স্পষ্ট করে বলা যায়না। তবে ধারণা করা হচ্ছে ১৪৫৯ খৃষ্টাব্দের কিছু পূর্বে খানম আজম উলুগ খান জাহান নামক এক মহাপুরুষ এই বিখ্যাত মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।
যেভাবে যাবেনঃ ঢাকার গাবতলী অথবা কল্যাণপুর থেকে খুলনা-বাগেরেহাট যেতে পারবেন। সাধারণ কোচের ভাড়া যাত্রীপ্রতি ২৫০/৩০০ টাকা। চেয়ারকোচ ৪০০ টাকা।সময় লাগবে ৭/৮ ঘন্টা। হানিফ, সোহাগ, কিংবা কেয়ার বাসেও যেতে পারেন।যেখানে থাকবেনঃ ইচ্ছে করলে জাদুঘরের উত্তর দিকে অবস্থিত বিশ্রামাগারে থাকতে পারেন। অগ্রিম বুকিং এর জন্য খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর (শীব বাড়ি মোড়)হতে বুকিং নিতে হবে। দরগার ফকিররা সামাণ্য দক্ষিণার বিনিময়ে সাধারণ ভক্তদের তাদের বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেন। আর খুলনায় থাকতে চাইলে রয়েল ইন্টারন্যাশনাল, আলফেশান, কিংবা গোল্ডেন কিং স্টার হোটেলেও রাত কাটাতে পারেন।
সুন্দরবনঃ সুন্দরবনকে ১৯৯৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাংশের জেলা খুলনা ,সাতক্ষীরা ,বাগেরহাট ,পিরোজপুর ও বরগুনা জেলা জুড়ে অবস্থিত। সবুজ অরণ্যে পল্লবিত সুন্দবেনে গেলে আপনাকে স্বাগতম জানাবে চিত্রল হরিণ, বনমোরগ , বানর কিংবা অন্য কোন প্রাণী। ভাগ্য ভাল হলে ”বড় মামার” সাথেও দেখা হয়ে যেতে পারে। হ্যাঁ বাঘকে ওখানকার লোকেরা এই নামেই ডাকে। তবে সাবধান বড় মামার সাথে দেখা করতে গেলে কুপোকাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই গাইডের পরামর্শ অনুযায়ী পথ চলুন। গাইডের মুখে হয়তো শুনবেন-সুন্দরী গাছের নামানুসারে এবনের নামকরন করা হয়েছে সুন্দর বন। পুরো বনের আয়তন ১০০০০ বর্গ কিলোমিটার তবে বাংলাদেশের আওতাধীন রয়েছে ৬০১৭ কিলোমিটার। মংলা দিয়ে প্রবেশ করলে টাইনমারিতে দেখবেন বন বিভাগের এটি কার্যালয় রয়েছে। বিদেশী পর্যটকগন ৭০০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানবেন-এবনে আছে ৫০০ বাঘ,৩০০০০ চিত্রল হরিণ , ৩৩০ প্রজাতির গাছ , ২৭০ প্রজাতির পাখি ,১৪ প্রজাতির সরীসৃপ ,৪২ প্রজাতির বন্য প্রাণী , ৩২ প্রজাতির চিংঢ়িসহ ২১০ প্রজাতির মাছ। এখানকার হিরণ পয়েন্টে, দুবলার চর , শরণখোলা , ছালকাটা , টাইগার পয়েন্টে , সিবিচ , সাত নদীর মুখ ও কালিরচওে গিয়ে সুন্দরবনের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করতে পারেবেন। ”বুড়ি গোয়ালিনি রেঞ্জে গেলে মৌয়ালীদেও মধু সংগ্রহ দেখতে পাবেন। তারা মধু সংগ্রহের আগে সমবেত প্রার্থনায় মিলিত হন। তারপর দল নেতা প্রত্যেকের ডান হাতে লাল কাপড় বেঁধে দেন। তাদের বিশ্বাস এটি তাদেরকে বাঘের হাত থেকে রক্ষা করবে। তারপর তারা দল বেঁধে নৌকাযোগে বের হয়ে যান। মৌয়ালরা মৌমাছির গতিবিধি লক্ষ্য করে মৌচাকের সন্ধান করেন। তারপর মৌচাক কেটে আনেন। যদিও সুন্দরবনে বাঘ শিকার নিষেধ তবুও শিকারীদের দেখবেন গাছে উঠে তারা কিভাবে বাঘিনিদের সুরে বাঘকে ডেকে ফাঁদে ফেলে শিকার করে। এছাড়া কাঁঠুরিয়াদের দেখবেন ৮/১০ ফুট উঁচু গাছের উপরে কিভাবে বাসা বেঁধে বসবাস করছে।
যেভাবে যাবেনঃ বিদেশী বন্ধুরা একা একা সুনদরবনে না যাওয়াই ভাল। কোন পর্যটক সংস্থার দ্বারস্থ হলে ভাল হয়। ৫ রাত ৪ দিনের প্যাকেজে ১৫০০০ টাকা খরচ হবে। ভাল কোন হোটেলে থাকতে হলে আপনাকে খুলনা শহরে যেতে হবে। এছাড়া বন বিভাগের রেস্ট হাউজেও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলে সেখানেও অবস্থান করতে পারেন।
জাতীয় সংসদ ভবন ঃ বাংলাদেশের চতুর্থ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পথে জাতীয় সংসদ ভবন। এব্যাপারে ২৭ ডিসেম্বর ২০১০ ইউনেস্কোর কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। সংসদ সচিবালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে ইউনেস্কোর পরবর্তী ঘোষণায় মিশ্র ক্যাটাগরিতে এটি স্থান পেতে পারে। ইতমধ্যে ১৯৯৮ সালে জাতীয় সংসদ ভবন আগাখান পুরস্কার লাভ করেছে। এছাড়া বহু দেশী বিদেশী গবেষক জাতীয় সংসদ ভবনের উপর পিএচডি ডিগ্রী লাভ করেছেন।
ঢাকার শেরে বাংলানগরে এটি অবস্থিত। সেখানে গিয়ে জানবেন মার্কিন স্থপতি প্রয়াত লুই আই কান ১৯৬২ সালে এটি নির্মাণ শুরু করেন , তার মৃত্যুর পর মিঃ হেনরি এ উইল কটস অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন। ছাাঁদ ও দেয়ালের স্ট্রাক্চারাল ডিজাইন করেন হেনরি এস পালস বলম। লোকজনের মুখে শুনবেন কান বলতেন ”মানুষের প্রাথমিক আকাঙ্খা হলো সমবেত হওয় । সমাবেশের কেন্দ্রকে ঘিরেই মানবিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠে। আর সংসদ হচ্ছে সমাবেশের স্থান।” সমগ্র ভবনটি ৩ ভাগে বিভক্ত। মেইন প্লাজার আয়তন ৭৬০০০ বঃমিঃ সাউথ প্লাজার আয়তন ২১০০০ বঃমিঃ এবং প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাজার আয়তন ৬০০০ বঃমিঃ। মেইন প্লাজার ছাঁদ ১১৭ ফুট। প্রথম তলায় একটি গ্রন্থাগার তৃতীয় তলায় সংসদ সদস্যদেও জন্য লাউঞ্জ , এবং উপরতলায় মিলনায়তন। সাউথ প্লাজায় নিয়ন্ত্রিত প্রবেশ পথ , ড্রাইভওয়ে ,প্রধান যন্ত্র প্রকৌশল কক্ষ , গাড়ী পার্কিং , এর স্থান , টেলিফোন একচেঞ্জ ও প্রকৌশলীদের অফিসক্ষ রয়েছে। এছাড়া উত্তর দিকে রয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাজা । এই প্লাজা সংসদ সদস্য ও অন্যান্য উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মার্বেল পাথরে আবৃত মেঝ, গ্যালারী ও খোলা পথই এ প্লাজার বৈশিষ্ট্য। জাতীয় সংসদ ভবনে গিয়ে বিশেষ করে ছাঁদের দিকে খেয়াল রাখবেন। লক্ষ করলে দেখবেন –এটি পরিবৃত্তাকার। ছাঁদটি স্বচ্ছভাবে তৈরি করা হয়েছে। যাতে দিনের আলো এতে প্রবেশ করতে পারে। সূর্যের আলো চারদিকের ঘেরা দেয়াল ও অষ্টভুজাকৃতির ড্রামে প্রতিফলিত হয়ে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করলে জানতে পারবেন-এ ভবন তৈরির উদ্যোগ নেন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান। ২৮ নভেম্বর ১৯৮১ উদ্ভোধন করেন প্রেসিডেন্ট আঃ ছাত্তার। আর প্রথম অধিবেশন বসে ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৮২ । এতে খরচ হয়েছে ১২৯ কোটি টাকা। সংসদ ভবন পরিদর্শন শেষে আপনি সহজেই আপনার হোটেলে ফিরে আসতে পারবেন। বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষে দেশে চলে গেলে ও এদেশের মনোলোভা পর্যটনকেন্দ্রগুলো আপনাকে পীছু ডাকবে।
লেখকঃ মমিনুল ইসলাম মোল্লা

0 Comments