ঘুরে দেখুনঃ রঙ-রসে ভরপুর-উত্তরের রংপুর


ঘুরে দেখুনঃ রঙ-রসে ভরপুর-উত্তরের রংপুর

ঘুরে দেখুনঃ রঙ-রসে ভরপুর-উত্তরের রংপুর
:বিহার, কুঠি, মসজিদ, মন্দির ও মাজারখ্যাত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা  রংপুর। রঙ-রসে ভরপুর-রংপুর। চলুন ২ দিন সময় হাতে নিয়ে বেড়িয়ে  আসি।
কিভাবে যাবেন ?
ঢাকা থেকে রংপুরের দূরত্ব ৩৩৫ কিলোমিটার।  ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর, ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বাসে উঠে রংপুর যেতে পরারবেন।এছাড়া ট্রেন কিংবা বিমানযোগেও যেতে পারবেন। সকাল ৭টায় বাস ধরতে পারলে ২টায় পৌছবেন।
কোথায় থাকবেন ?
রংপুরে পর্যটন হোটেলে থাকতে পারেন। এছাড়া বনফুল, রজনীগন্ধা, অথবা হোটেল মুন এ উঠতে পারেন। ফেরার পথে রংপুরের কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে আগমনী এক্সপ্রেস অথবা এস আর ট্রাভেল্সযোগে এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সকাল ৮টা কিংবা ১১টা ৩০ এর বাস ধরতে পারলে সন্ধ্যার আগে ঢাকায় ফিরতে পারবেন।
কি কি দেখবেন ?
১) বেগম রোকেয়ার স্মৃতি ধন্য পায়রাবন্ধ : নারী জাগরনের অগ্্রদূত বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন। জেলা সদর থেকে  ৫ মাইল দক্ষিণে পায়রাবন্ধ অবস্থিত।রোকেয়ার আদি পুরুষ টাটী চৌধুরী। তিনি একজন বিখ্যাত জমিদার ছিলেন। তার জমিদারি লাভ সম্পর্কে একটি ছড়া প্রচলিত আছে। লোক মুখে হয়তো শুনবেন টাটী পাইলো মাটি / খয়রুদ্দিন পাইলো লাট। ঠাকুর বাড়িৎ যায়া দ্যাক। পুজার ঘটাঘটন এখন বেগম রোকেয়ার বাড়ীটি ধ্বংস প্রায়। তিনটি স্তম্ভ কোন রকমে দাঁড়িয়ে আছে।  রোকেয়া  (১৮৮০-১৯৩২ইং) মারা যাওয়ার পর ৯৭ সালে সরকার ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। বেগম রোকেয়ার নামে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে। এগুলো ঘুরে ঘুরে দেখুন। পায়রাবন্দের গেঁয়ো শোভা। ২) নীল কুঠি (গঙ্গাচরা) : শহর থেকে ১৩ মাইল দূরে গঙহাচরা। টেম্পু বা রিক্্রায় যেতে পারেন। এখানে গরুর গাড়ী ও মহিষের গাড়ী দেখবেন। শখের বসেমহিষের গাড়ীতে চড়তে পারেন। নলি কুঠিটি কুঠিপাড়ায় অবস্থিত। নীলকর সাহেবেরা এখানে নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার করতেন। এখানে দুটি প্রাচীন মসজিদ দেখতে পারেন। ৩) শিব মঠ (গঙ্গাচড়া) এখানকার শিব মঠ দেখুন। বেল গাছের পাশেই মঠ। মঠের চারপাশ ভালভাবে দেখেননি। এছাড়া রংপুরের গোবিন্দগঞ্জে হিন্দুদের পবিএতম দুটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এগুলো ১৬০৫ সালে রাজা ভগবান দাস নির্মাণ করেছিলেন। ৪) কারা মতিয়ার মসজিদ : ইসলাম ধর্মের মহান শাসক মাওলানা কেরামত আলী জৈনপুরী ১২৯০ হিজরীতে রংপুরে আগমন কনে। তিনি এখানে ইসলাম প্রচার করেন। রংপুর শহরের মুন্সীপাড়ায় তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদের পাশেই তাকে কবর দেয়া হয়েছে। ৫) তাজহাটের জমিদার বাড়ী এবং ইসমাইল শাহীর মাজার: রংপুর শহরে অবস্থিত তাজহাটের জমিদার বাড়ী দেখুন। ঝলমলে জমিদার বাড়ীটি দেখতে আপনার ভাল লাগবে। এছাড়া সৈয়দপুর- রংপুর, সড়কের পাগলা পীরের মাজার রয়েছে। রংপুরে আরো একটি বিখ্যাত মাজার আছে। সুলতান রুকনুদ্দীন বরকত শাহ ইসমাইল গাজী নামক দরবেশের শিরচ্ছেদ করলে কর্তিত শীর এখানে কবর দেয়া হয়। এখানে একটি মসজিদ আছে। এটি সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে নির্মিত হয়েছে। ৬)  বাংলাদেশের প্রথম মসজিদ (লালমনির হাট): লালমনিরহাটে একটি পুরাতন মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্ভবত এটিই বাংলাদেশের প্রথম মসজিদ। প্রাপ্ত : শিলালিপি অনুযায়ী মসজিদটি হিজরী ৬৯ অর্থাৎ ৬৯০ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত হয়। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিকট প্রশিক্ষন প্রাপ্ত সাহাবায়ে কেরাম (রাজিঃ) এর পবিএ হস্ত স্পর্শে ও নির্দেশে এটি নির্মিত হয়েছিল। তিস্তা নদীর অদূরে লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে মসজিদটি অবস্থিত। কয়েক বছর আগে জঙ্গল পরিষ্কার করে মাটি খোড়ার সময় এটি আবিস্ক্রত হয়। ৬২৬ খিষ্ট্রাব্দে অর্থাৎ চতুর্থ হিজরীতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাতুল আবি ও ওয়াক-কাস মালিক ইবনে বুয়াইর চট্রগ্রাম বন্দরে এসেছিলেন বলে জানা যায়। তবে তিনি লালমনিরহাট এসে ধর্ম প্রচার করেছিলেন কি-না এ বৗাপারে কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
৭) লোহনী পাড়া বিহারঃ (বদরগঞ্জ)ঃ এটি বদরগঞ্জ থানার ৬ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। এই বিহারের প্রত্যেক বাহু ৩০০ফুট লম্বা ছিল বলে ধারণা করা হয়। এখানে একটি শিলালিপি পাওয়া গেছে। এটি বর্তমানে ঢাকা যাদুঘরে আছে। এই বিহার রাজা অংশু বর্ধন নির্মাণ করেছিলেন।
৮) হবু চন্দ্রের রাজবাড়ী( মিঠাপুকুর)ঃ হবু চন্দ্র রাজা ও গবু চন্দ্র মন্ত্রীর নাম আমাদের সবারই জানা। অনেকে মনে করেন তাদের বাড়ী মিঠাপুকুরে। এ থানার উদয়পুর ও বাগদুয়ারে কয়েকটি টিবি আছে। এখানে হবুচন্দ্র রাজার বাড়ী ছিল বলে জানা যায় । এখানে  অনেক প্রাচীন দিঘি, পুষ্পরিনী ও পাকা রাস্তার চিহ্ন আছে। ৯) তিস্তা ব্যারেজ- লালমনিরহাট বাংলাদেশের বৃহওর ব্যারেজ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প। এটি লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার ডালিয়া নামক স্থানে অবস্থিত। ব্যারেজটি ঘুরে- ফিরে দেখবেন। এখানে আপনি দেখবেন কিভাবে পানি ব্যারেজ রাখা হয় এবং প্রয়োজনে স্লুাইস গেট খুলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি করা হয়। ১০) উপজাতি পল্লী-পীরগঞ্জঃ পীরগঞ্জে সাওতাল উপজাতির লোকেরা বসবাস করে। তাদের আদি নিবাস বিহারে, রাজা উদয় নারায়নের রাজস্বকালে এরা এখানে আসে। শৃগাল,ইদুর,কাকড়া, রেজি ইত্যাদি তাদের প্রিয় খাদ্য। পীরগঞ্জ থেকে ৭ মাইল দক্ষিন-পশ্চিমে কাটাদুয়ারে গ্রামে। এখানে প্রাচীনকালের ৭টি দুর্গ রয়েছে। এখান থেকে দেড় মাইল দক্ষিনে নীলাম্বরের দুর্গ দেখতে পাবেন। ১১) আরো যেসব দৃশ্য দেখতে  পাবেনঃ আপনার হাতে সময় থাকলে হরিশচন্দের পাট-নীল-ফামারী,পঞ্চনার দিঘি পঞ্চনা,বদরগঞ্জের বিল, সাহেবগঞ্জ-বোগদাহ দুর্গ, চিড়িয়াকানা, যাদুঘর ও পার্ক দেখুন। যত দেখবেন ততই ভাল লাগবে। আসার সময় শতরঞ্জি নিয়ে আসবেন। শতরঞ্জি নামের কার্পেট রংপুরের ঐতিহ্যবহন করে। মোগল স¤্রাট আকবরের দরবারে শত রঞ্জির ব্যবহার হতো। ভ্রমনের কথা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে।
রংপুরের নামকরনঃ সেখানকার কোন দোকানে চা খেতে খেতে হয়তো শুনবেন রংপুর  নামটি এসেছে ‘রঙ্গপুর’।  ইতিহাস থেকে জানা যায় যে ,এ উপমহাদেশে ইংরেজরা নীলের চাষ শুরু করে। এই অঞ্চলের মাটি উর্র্বর হবার কারণে এখানে প্রচুর নীলের চাষ হত। সেই নীলকে স্থানীয় লোকজন রঙ্গ নামেই জানত। কালের বিবর্তনে সেই রঙ্গ থেকে রঙ্গপুর এবং তা থেকেই আজকের রংপুর।
লেখক: প্রভাষক, ক্যাম্পেনার সিডিএলজি এবং সহকারী সম্পাদক dristanta.com,

Post a Comment

0 Comments

0

ঘুরে দেখুনঃ রঙ-রসে ভরপুর-উত্তরের রংপুর

ঘুরে দেখুনঃ রঙ-রসে ভরপুর-উত্তরের রংপুর
:বিহার, কুঠি, মসজিদ, মন্দির ও মাজারখ্যাত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা  রংপুর। রঙ-রসে ভরপুর-রংপুর। চলুন ২ দিন সময় হাতে নিয়ে বেড়িয়ে  আসি।
কিভাবে যাবেন ?
ঢাকা থেকে রংপুরের দূরত্ব ৩৩৫ কিলোমিটার।  ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর, ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বাসে উঠে রংপুর যেতে পরারবেন।এছাড়া ট্রেন কিংবা বিমানযোগেও যেতে পারবেন। সকাল ৭টায় বাস ধরতে পারলে ২টায় পৌছবেন।
কোথায় থাকবেন ?
রংপুরে পর্যটন হোটেলে থাকতে পারেন। এছাড়া বনফুল, রজনীগন্ধা, অথবা হোটেল মুন এ উঠতে পারেন। ফেরার পথে রংপুরের কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে আগমনী এক্সপ্রেস অথবা এস আর ট্রাভেল্সযোগে এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সকাল ৮টা কিংবা ১১টা ৩০ এর বাস ধরতে পারলে সন্ধ্যার আগে ঢাকায় ফিরতে পারবেন।
কি কি দেখবেন ?
১) বেগম রোকেয়ার স্মৃতি ধন্য পায়রাবন্ধ : নারী জাগরনের অগ্্রদূত বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন। জেলা সদর থেকে  ৫ মাইল দক্ষিণে পায়রাবন্ধ অবস্থিত।রোকেয়ার আদি পুরুষ টাটী চৌধুরী। তিনি একজন বিখ্যাত জমিদার ছিলেন। তার জমিদারি লাভ সম্পর্কে একটি ছড়া প্রচলিত আছে। লোক মুখে হয়তো শুনবেন টাটী পাইলো মাটি / খয়রুদ্দিন পাইলো লাট। ঠাকুর বাড়িৎ যায়া দ্যাক। পুজার ঘটাঘটন এখন বেগম রোকেয়ার বাড়ীটি ধ্বংস প্রায়। তিনটি স্তম্ভ কোন রকমে দাঁড়িয়ে আছে।  রোকেয়া  (১৮৮০-১৯৩২ইং) মারা যাওয়ার পর ৯৭ সালে সরকার ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। বেগম রোকেয়ার নামে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে। এগুলো ঘুরে ঘুরে দেখুন। পায়রাবন্দের গেঁয়ো শোভা। ২) নীল কুঠি (গঙ্গাচরা) : শহর থেকে ১৩ মাইল দূরে গঙহাচরা। টেম্পু বা রিক্্রায় যেতে পারেন। এখানে গরুর গাড়ী ও মহিষের গাড়ী দেখবেন। শখের বসেমহিষের গাড়ীতে চড়তে পারেন। নলি কুঠিটি কুঠিপাড়ায় অবস্থিত। নীলকর সাহেবেরা এখানে নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার করতেন। এখানে দুটি প্রাচীন মসজিদ দেখতে পারেন। ৩) শিব মঠ (গঙ্গাচড়া) এখানকার শিব মঠ দেখুন। বেল গাছের পাশেই মঠ। মঠের চারপাশ ভালভাবে দেখেননি। এছাড়া রংপুরের গোবিন্দগঞ্জে হিন্দুদের পবিএতম দুটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এগুলো ১৬০৫ সালে রাজা ভগবান দাস নির্মাণ করেছিলেন। ৪) কারা মতিয়ার মসজিদ : ইসলাম ধর্মের মহান শাসক মাওলানা কেরামত আলী জৈনপুরী ১২৯০ হিজরীতে রংপুরে আগমন কনে। তিনি এখানে ইসলাম প্রচার করেন। রংপুর শহরের মুন্সীপাড়ায় তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদের পাশেই তাকে কবর দেয়া হয়েছে। ৫) তাজহাটের জমিদার বাড়ী এবং ইসমাইল শাহীর মাজার: রংপুর শহরে অবস্থিত তাজহাটের জমিদার বাড়ী দেখুন। ঝলমলে জমিদার বাড়ীটি দেখতে আপনার ভাল লাগবে। এছাড়া সৈয়দপুর- রংপুর, সড়কের পাগলা পীরের মাজার রয়েছে। রংপুরে আরো একটি বিখ্যাত মাজার আছে। সুলতান রুকনুদ্দীন বরকত শাহ ইসমাইল গাজী নামক দরবেশের শিরচ্ছেদ করলে কর্তিত শীর এখানে কবর দেয়া হয়। এখানে একটি মসজিদ আছে। এটি সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে নির্মিত হয়েছে। ৬)  বাংলাদেশের প্রথম মসজিদ (লালমনির হাট): লালমনিরহাটে একটি পুরাতন মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্ভবত এটিই বাংলাদেশের প্রথম মসজিদ। প্রাপ্ত : শিলালিপি অনুযায়ী মসজিদটি হিজরী ৬৯ অর্থাৎ ৬৯০ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত হয়। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিকট প্রশিক্ষন প্রাপ্ত সাহাবায়ে কেরাম (রাজিঃ) এর পবিএ হস্ত স্পর্শে ও নির্দেশে এটি নির্মিত হয়েছিল। তিস্তা নদীর অদূরে লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে মসজিদটি অবস্থিত। কয়েক বছর আগে জঙ্গল পরিষ্কার করে মাটি খোড়ার সময় এটি আবিস্ক্রত হয়। ৬২৬ খিষ্ট্রাব্দে অর্থাৎ চতুর্থ হিজরীতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাতুল আবি ও ওয়াক-কাস মালিক ইবনে বুয়াইর চট্রগ্রাম বন্দরে এসেছিলেন বলে জানা যায়। তবে তিনি লালমনিরহাট এসে ধর্ম প্রচার করেছিলেন কি-না এ বৗাপারে কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
৭) লোহনী পাড়া বিহারঃ (বদরগঞ্জ)ঃ এটি বদরগঞ্জ থানার ৬ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। এই বিহারের প্রত্যেক বাহু ৩০০ফুট লম্বা ছিল বলে ধারণা করা হয়। এখানে একটি শিলালিপি পাওয়া গেছে। এটি বর্তমানে ঢাকা যাদুঘরে আছে। এই বিহার রাজা অংশু বর্ধন নির্মাণ করেছিলেন।
৮) হবু চন্দ্রের রাজবাড়ী( মিঠাপুকুর)ঃ হবু চন্দ্র রাজা ও গবু চন্দ্র মন্ত্রীর নাম আমাদের সবারই জানা। অনেকে মনে করেন তাদের বাড়ী মিঠাপুকুরে। এ থানার উদয়পুর ও বাগদুয়ারে কয়েকটি টিবি আছে। এখানে হবুচন্দ্র রাজার বাড়ী ছিল বলে জানা যায় । এখানে  অনেক প্রাচীন দিঘি, পুষ্পরিনী ও পাকা রাস্তার চিহ্ন আছে। ৯) তিস্তা ব্যারেজ- লালমনিরহাট বাংলাদেশের বৃহওর ব্যারেজ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প। এটি লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার ডালিয়া নামক স্থানে অবস্থিত। ব্যারেজটি ঘুরে- ফিরে দেখবেন। এখানে আপনি দেখবেন কিভাবে পানি ব্যারেজ রাখা হয় এবং প্রয়োজনে স্লুাইস গেট খুলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি করা হয়। ১০) উপজাতি পল্লী-পীরগঞ্জঃ পীরগঞ্জে সাওতাল উপজাতির লোকেরা বসবাস করে। তাদের আদি নিবাস বিহারে, রাজা উদয় নারায়নের রাজস্বকালে এরা এখানে আসে। শৃগাল,ইদুর,কাকড়া, রেজি ইত্যাদি তাদের প্রিয় খাদ্য। পীরগঞ্জ থেকে ৭ মাইল দক্ষিন-পশ্চিমে কাটাদুয়ারে গ্রামে। এখানে প্রাচীনকালের ৭টি দুর্গ রয়েছে। এখান থেকে দেড় মাইল দক্ষিনে নীলাম্বরের দুর্গ দেখতে পাবেন। ১১) আরো যেসব দৃশ্য দেখতে  পাবেনঃ আপনার হাতে সময় থাকলে হরিশচন্দের পাট-নীল-ফামারী,পঞ্চনার দিঘি পঞ্চনা,বদরগঞ্জের বিল, সাহেবগঞ্জ-বোগদাহ দুর্গ, চিড়িয়াকানা, যাদুঘর ও পার্ক দেখুন। যত দেখবেন ততই ভাল লাগবে। আসার সময় শতরঞ্জি নিয়ে আসবেন। শতরঞ্জি নামের কার্পেট রংপুরের ঐতিহ্যবহন করে। মোগল স¤্রাট আকবরের দরবারে শত রঞ্জির ব্যবহার হতো। ভ্রমনের কথা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে।
রংপুরের নামকরনঃ সেখানকার কোন দোকানে চা খেতে খেতে হয়তো শুনবেন রংপুর  নামটি এসেছে ‘রঙ্গপুর’।  ইতিহাস থেকে জানা যায় যে ,এ উপমহাদেশে ইংরেজরা নীলের চাষ শুরু করে। এই অঞ্চলের মাটি উর্র্বর হবার কারণে এখানে প্রচুর নীলের চাষ হত। সেই নীলকে স্থানীয় লোকজন রঙ্গ নামেই জানত। কালের বিবর্তনে সেই রঙ্গ থেকে রঙ্গপুর এবং তা থেকেই আজকের রংপুর।
লেখক: প্রভাষক, ক্যাম্পেনার সিডিএলজি এবং সহকারী সম্পাদক dristanta.com,

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.