ছোট সোনা মসজিদ খ্যাত-চাপাইনবাবগঞ্জ মমিনুল ইসলাম মোল্লা

ছোট সোনা মসজিদ খ্যাত-চাপাইনবাবগঞ্জ
মমিনুল ইসলাম মোল্লা

সুমিষ্ট আমের বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ। ছোট সোন মসজিদ চাপাইনবাবঞ্জে, এজন্যউ প্রসিদ্ধ নবাবাদের চিত্ত বিনোদনের স্থান চম্বাবতী সুন্দরী খ্যাত চাপাই নবাবঞ্জ। চাপাই নবাবঞ্জ নামের উৎপত্তও নাকি হয়েছে নবাব এবং বাঈজী  চম্পাবতীর নামে। চলুন দল বেঁধে যাই নবাবদের দেশে।
কি ভাবে যাবেন ?
ঢাকার টেকনিক্যালে চাপাই নবাবগঞ্জের বাস পাবেন। হানিফ, মর্ডান, শ্যামলী  লতা কিংবা সাথী পরিবহনে উঠুন। এছাড়া  সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস রাজশাহী গিয়ে সেখানে থেকে চাপাইনবাবগঞ্জে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে সড়ক পথে ৩২০ কিঃ মিঃ এবং রেলপথে ৪৯১ কিঃ মিঃ দূরে চাপাই নবাবগঞ্জ অবস্থিত। ( ভাড়া স্পেশাল বাসে  প্রতি কিলোমিটার  ৮৫ পয়সা)।
কোতায় থাকবেন ?
চাপাই নবাবগঞ্জ গিয়ে আপনি দিনে দিনে ফিরতে পারবেন না। তাই আগে থেকেই ভেবে নিন কোথায় থাকবেন ? আলাউদ্দীন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, জলযোগে, কিংবা নবাব রেস্টুরেন্ট ( নিউ মার্কেট ) থাকতে পারেন।
দর্শনীয় স্থান সমূহ ঃ
১। মসজিদ (ছোট সোনা মসজিদ)ঃ নবাবগঞ্জ থেকে ২১ মাইর দূরে কানসাটের কাছে ছোট সোনা মসজিদ অবস্থিত।৪০০ বছর আগে গৌড়ের সুলতান আলউদ্দীন হোসেন শাহের আমলে ওয়ালী মোহাম্মদ মসজিদটি নির্মান করেন(১৪৯৩-১৫১৯)। মসজিদটির দৈর্ঘ ৮২ ফুট প্রস্থ ৫২ ফুট। উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট এ মসজিদে রয়েছে ১৫ টি গম্বুজ। এছাড়া রাজাবিবি মসজিদটিও দেখতে পারেন। এটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট চতুষেকানী  মসজিদ।৬২*৪২ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট মসজিদটি আমাদের অতীত ঐতিহ্য বহন করছে। বারান্দসহ মসজিদের চারপাশে ৬টি অষ্টকোনাকার ৬টি বরুজ আছে।
২। সমাধি ( বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর) ঃ বাংলাদেশের ৭জন বীর শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্দার মধ্যে বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরে নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তার কবর দেখবেন  সোন মসজিদের  পাশে । ১৯৪৯ সালে বরিশালের রহিমগঞ্জে  তিনি জন্মেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর চাপাইনবাবগঞ্জে ৭ নম্বর সেক্টরের বারঘরিয়ায় শহীদ হন। 
৩। মাজার ( শাহ নিয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর মাজার)ঃ ছোট সোনা মসজিদের উত্তরে-পশ্চিমে দেখবেন একটি মাজার। কবরের উপরে একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট ইমারত রয়েছে। ১৪৯৩ মিটার বর্গাকার ভূমির উপর এটি প্রতিষ্ঠিত। ইট সুরকি দিয়ে তৈরি ঘরটির খিলানগুলো কৌনিক ও চারকেন্দ্রিক । কবরস্থান এর পশ্চিমাংশে একটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী হযরত নিয়ামত উল্লাহ ওয়ালি স্বয়ং এ মসজিদ নির্মান করছেন।
৪। ঐতিহাসিক স্থান(জাহাজ ঘাট) ঃ এটি কোতয়ালী দরজা থেকে প্রায় ১কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে পাগলা নদীর তীরে শাহবাজপুরের ঘোমপুরে অবস্থিত। জনগনের বিশ্বাস এখানে এককালে জাহাজ নোঙ্গর ফেলত। প্রায় ৩/৪ একর জমির উপর এটি প্রতিষ্ঠিত। প্রচুর ইট -পাটকেল পাওয়া গেলেও এটি বর্তমানে অনেকটা সমতল।
৫। পুল (সিঙারহাটের পুরাতন পুল) ঃ এটি ছোট সোনা মসজিদের ২০০মিঃ উত্তরে-পূর্বদিকে অবস্থিত। ধ্বংশ প্রায় পুলটি ৫ মিঃ লম্বা এবং ১.২ মিঃ প্রশস্ত। এটি আনুমানিক খ্রিষ্টীয় পনের-ষোল শতকে নিমির্ ত বলে অনুমান করা হয়।
৬। বাড়ী (কানসাটের রাজবাড়ী) ঃ কানসাটে দেখবেন ঐতিহাসিক রাজবাড়ী। এছাড়া গোলঘরটি দেখে নিন। সে আমলের রাজ-রানীরা এখানে এসে হাওয়া খেতেন। চাপাই নবাবগঞ্জের বিখ্যাত আম গাছগুলো এখানে দেখে নিন। আমের দিনে পেটভরে আম খেতে পারবেন।
৭। কুঠি ( নীল কুঠি) ঃ চাপাই নবাবগঞ্জের মাটি উর্বর হওয়ায় এখানে প্রচুর পরিমানে নীল চাষ হতো। এখানকার ভোলাহাটের মেরি কালচার বোর্ড রক্ষিক বৃটিশ বেনিয়াদের নীল তৈরীর বয়লার ও সেখানে লাগাণো নীল গাছ দেখতে পাবেন। নীল গাছ দেখতে পাট গাচের মতো। বর্ষার বপন চৈত্রে কাটা হয়। পরিপক্ক নীল গাছ পাতা শুদ্ধ কেটে চৌবাচ্চার কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে হলুদ বর্ন ধারনের সময় গরু দিয়ে মারাইয়ের পর চাকা জাতীয় যন্ত্র দ্বারা বাওড়া দিতে হয়। চৌবাচ্চার মধ্যে থেকে নীল রস সংগ্রহ করে বড় গামলায় জাল দিয়ে বিশেষ আকৃতি করে বিক্রি করা হতো।
৮।  বন ও ঝর্না (বাবু ডাং)ঃ রোপিত বন দেখতে পাবেন চাপাই নবাবগঞ্জের বাবুডাং এ। জেলা শহরে থেকে ৬ কিঃ মিঃ পূর্বে ৩ বর্গমাইল কাস এলাকায় এটি অবস্থিত। এখানে ২৭ টি মাটির টিলা রয়েছে। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দেড় লক্ষধিক বনজ গাছ লাগানো হয়। এখন গাছগুলো বড় হয়ে অপরুপ শোভা বর্ধন করে। এাখানে একটি ঝর্নাও দেখতে পাবেন। ঝর্নার পানিকে কাজে লাগানোর জন্য ক্রসড্যাসের সৃষ্টি কার হয়েছে।
৯। নৌবিহার  (মহানন্দা নদী) ঃ পদ্মা, মহানন্দা ও পাগলা বিধোত, চাপাই নবাবগঞ্জ। এ নদী গুলো চাপাই নবাবগঞ্জের অপরুপ রুপ দান করছে। আপিনি মহানন্দা নদীতে নৌবিহার করুন সেখানে গিয়ে জানবেন ,১৯৪৭ সালে উপমহাদেশে ভাগা ভাগির পর মালদহ জেলা থেকে প্রাপ্ত ৫টি থানা নিয়ে চাপাই নবাবগঞ্জ মহকুমার উন্নীত হয় এবং ১৯৮৪ সালে জেলার পরিনত হয়।
আর যা যা দেখতে পাবেন। হাতে যদি আরেকটু সময় থাকে তাহলে নওদাঁ বুরুজ ও গৌর নগরী(রহনপুর) শিব মন্দির(হুজারপুর)জোড়া মঠ(হুজারপুর) বারঘরিয় কাঁচারী বাড়ী(সদর)ঐতিহাসিক কালাপাহাড়ের ভিউ (মহানন্দা নদীর তীরে) হযরত বুলন্দ শাহ (রঃ) ( আমনুরা) এবং হযরত মাদাই ফকিরের ( গোমস্তপুর)  আস্তানা দেখে আসবেন। আসার সময় ঐবিহ্যবাহী আম ও লিচু নিয়ে আসবেন।

Post a Comment

0 Comments

0

ছোট সোনা মসজিদ খ্যাত-চাপাইনবাবগঞ্জ
মমিনুল ইসলাম মোল্লা

সুমিষ্ট আমের বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ। ছোট সোন মসজিদ চাপাইনবাবঞ্জে, এজন্যউ প্রসিদ্ধ নবাবাদের চিত্ত বিনোদনের স্থান চম্বাবতী সুন্দরী খ্যাত চাপাই নবাবঞ্জ। চাপাই নবাবঞ্জ নামের উৎপত্তও নাকি হয়েছে নবাব এবং বাঈজী  চম্পাবতীর নামে। চলুন দল বেঁধে যাই নবাবদের দেশে।
কি ভাবে যাবেন ?
ঢাকার টেকনিক্যালে চাপাই নবাবগঞ্জের বাস পাবেন। হানিফ, মর্ডান, শ্যামলী  লতা কিংবা সাথী পরিবহনে উঠুন। এছাড়া  সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস রাজশাহী গিয়ে সেখানে থেকে চাপাইনবাবগঞ্জে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে সড়ক পথে ৩২০ কিঃ মিঃ এবং রেলপথে ৪৯১ কিঃ মিঃ দূরে চাপাই নবাবগঞ্জ অবস্থিত। ( ভাড়া স্পেশাল বাসে  প্রতি কিলোমিটার  ৮৫ পয়সা)।
কোতায় থাকবেন ?
চাপাই নবাবগঞ্জ গিয়ে আপনি দিনে দিনে ফিরতে পারবেন না। তাই আগে থেকেই ভেবে নিন কোথায় থাকবেন ? আলাউদ্দীন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, জলযোগে, কিংবা নবাব রেস্টুরেন্ট ( নিউ মার্কেট ) থাকতে পারেন।
দর্শনীয় স্থান সমূহ ঃ
১। মসজিদ (ছোট সোনা মসজিদ)ঃ নবাবগঞ্জ থেকে ২১ মাইর দূরে কানসাটের কাছে ছোট সোনা মসজিদ অবস্থিত।৪০০ বছর আগে গৌড়ের সুলতান আলউদ্দীন হোসেন শাহের আমলে ওয়ালী মোহাম্মদ মসজিদটি নির্মান করেন(১৪৯৩-১৫১৯)। মসজিদটির দৈর্ঘ ৮২ ফুট প্রস্থ ৫২ ফুট। উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট এ মসজিদে রয়েছে ১৫ টি গম্বুজ। এছাড়া রাজাবিবি মসজিদটিও দেখতে পারেন। এটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট চতুষেকানী  মসজিদ।৬২*৪২ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট মসজিদটি আমাদের অতীত ঐতিহ্য বহন করছে। বারান্দসহ মসজিদের চারপাশে ৬টি অষ্টকোনাকার ৬টি বরুজ আছে।
২। সমাধি ( বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর) ঃ বাংলাদেশের ৭জন বীর শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্দার মধ্যে বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরে নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তার কবর দেখবেন  সোন মসজিদের  পাশে । ১৯৪৯ সালে বরিশালের রহিমগঞ্জে  তিনি জন্মেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর চাপাইনবাবগঞ্জে ৭ নম্বর সেক্টরের বারঘরিয়ায় শহীদ হন। 
৩। মাজার ( শাহ নিয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর মাজার)ঃ ছোট সোনা মসজিদের উত্তরে-পশ্চিমে দেখবেন একটি মাজার। কবরের উপরে একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট ইমারত রয়েছে। ১৪৯৩ মিটার বর্গাকার ভূমির উপর এটি প্রতিষ্ঠিত। ইট সুরকি দিয়ে তৈরি ঘরটির খিলানগুলো কৌনিক ও চারকেন্দ্রিক । কবরস্থান এর পশ্চিমাংশে একটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী হযরত নিয়ামত উল্লাহ ওয়ালি স্বয়ং এ মসজিদ নির্মান করছেন।
৪। ঐতিহাসিক স্থান(জাহাজ ঘাট) ঃ এটি কোতয়ালী দরজা থেকে প্রায় ১কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে পাগলা নদীর তীরে শাহবাজপুরের ঘোমপুরে অবস্থিত। জনগনের বিশ্বাস এখানে এককালে জাহাজ নোঙ্গর ফেলত। প্রায় ৩/৪ একর জমির উপর এটি প্রতিষ্ঠিত। প্রচুর ইট -পাটকেল পাওয়া গেলেও এটি বর্তমানে অনেকটা সমতল।
৫। পুল (সিঙারহাটের পুরাতন পুল) ঃ এটি ছোট সোনা মসজিদের ২০০মিঃ উত্তরে-পূর্বদিকে অবস্থিত। ধ্বংশ প্রায় পুলটি ৫ মিঃ লম্বা এবং ১.২ মিঃ প্রশস্ত। এটি আনুমানিক খ্রিষ্টীয় পনের-ষোল শতকে নিমির্ ত বলে অনুমান করা হয়।
৬। বাড়ী (কানসাটের রাজবাড়ী) ঃ কানসাটে দেখবেন ঐতিহাসিক রাজবাড়ী। এছাড়া গোলঘরটি দেখে নিন। সে আমলের রাজ-রানীরা এখানে এসে হাওয়া খেতেন। চাপাই নবাবগঞ্জের বিখ্যাত আম গাছগুলো এখানে দেখে নিন। আমের দিনে পেটভরে আম খেতে পারবেন।
৭। কুঠি ( নীল কুঠি) ঃ চাপাই নবাবগঞ্জের মাটি উর্বর হওয়ায় এখানে প্রচুর পরিমানে নীল চাষ হতো। এখানকার ভোলাহাটের মেরি কালচার বোর্ড রক্ষিক বৃটিশ বেনিয়াদের নীল তৈরীর বয়লার ও সেখানে লাগাণো নীল গাছ দেখতে পাবেন। নীল গাছ দেখতে পাট গাচের মতো। বর্ষার বপন চৈত্রে কাটা হয়। পরিপক্ক নীল গাছ পাতা শুদ্ধ কেটে চৌবাচ্চার কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে হলুদ বর্ন ধারনের সময় গরু দিয়ে মারাইয়ের পর চাকা জাতীয় যন্ত্র দ্বারা বাওড়া দিতে হয়। চৌবাচ্চার মধ্যে থেকে নীল রস সংগ্রহ করে বড় গামলায় জাল দিয়ে বিশেষ আকৃতি করে বিক্রি করা হতো।
৮।  বন ও ঝর্না (বাবু ডাং)ঃ রোপিত বন দেখতে পাবেন চাপাই নবাবগঞ্জের বাবুডাং এ। জেলা শহরে থেকে ৬ কিঃ মিঃ পূর্বে ৩ বর্গমাইল কাস এলাকায় এটি অবস্থিত। এখানে ২৭ টি মাটির টিলা রয়েছে। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দেড় লক্ষধিক বনজ গাছ লাগানো হয়। এখন গাছগুলো বড় হয়ে অপরুপ শোভা বর্ধন করে। এাখানে একটি ঝর্নাও দেখতে পাবেন। ঝর্নার পানিকে কাজে লাগানোর জন্য ক্রসড্যাসের সৃষ্টি কার হয়েছে।
৯। নৌবিহার  (মহানন্দা নদী) ঃ পদ্মা, মহানন্দা ও পাগলা বিধোত, চাপাই নবাবগঞ্জ। এ নদী গুলো চাপাই নবাবগঞ্জের অপরুপ রুপ দান করছে। আপিনি মহানন্দা নদীতে নৌবিহার করুন সেখানে গিয়ে জানবেন ,১৯৪৭ সালে উপমহাদেশে ভাগা ভাগির পর মালদহ জেলা থেকে প্রাপ্ত ৫টি থানা নিয়ে চাপাই নবাবগঞ্জ মহকুমার উন্নীত হয় এবং ১৯৮৪ সালে জেলার পরিনত হয়।
আর যা যা দেখতে পাবেন। হাতে যদি আরেকটু সময় থাকে তাহলে নওদাঁ বুরুজ ও গৌর নগরী(রহনপুর) শিব মন্দির(হুজারপুর)জোড়া মঠ(হুজারপুর) বারঘরিয় কাঁচারী বাড়ী(সদর)ঐতিহাসিক কালাপাহাড়ের ভিউ (মহানন্দা নদীর তীরে) হযরত বুলন্দ শাহ (রঃ) ( আমনুরা) এবং হযরত মাদাই ফকিরের ( গোমস্তপুর)  আস্তানা দেখে আসবেন। আসার সময় ঐবিহ্যবাহী আম ও লিচু নিয়ে আসবেন।

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.