ঘুরে দেখুনঃ ৭১ এর রাজধানী মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা মমিনুল ইসলাম মোল্লা

ঘুরে দেখুনঃ ৭১ এর রাজধানী মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা
মমিনুল ইসলাম মোল্লা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
১) সেচ প্রকল্পঃ চুয়াডাঙ্গাকে কৃষিজ সমৃদ্ধি দিয়েছে জিকে প্রকল্প। সেচ প্রকল্প বিভিন্ন খালের মাধ্যমে সেচের পানি মাঠে মাঠে পৌচ্ছে দিচ্ছে। এ প্রকল্প এলাকয় ২৫ হাজার ৯৭৩ হেক্টর জমি রয়েছে। 
২) কুঠি বাড়ি (কার্পাস ডাঙ্গা)ঃ চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন কার্পাসডাঙ্গা। এটি ছিল তৎকালীন মেদেনীপুর জমিদারী কোম্পানীর আঞ্চলিক সদর দপ্তর। এখানে ছিল ব্রিটিশ অফিসারদের বাসস্থান, কাছারী, ট্রেজারী, সিপাহীদের ফলক। পাশাপাশি রয়েছে জমিদারী আমলের দ্বিতল ভবন। কুঠিবাড়ীতে গেলে আপনার মনে পড়বে কুখ্যাত ক্লাইজের কথা, এটি মি. জেমস হিলক অবিভক্ত বাংলার বিখ্যাত মেদেনীপুর জমিদারী কোঃ লিঃ এর আঞ্চলিক সদর দপ্তর। সেখানে গিয়ে এলাকার লোকদের মুখে শুনবেন, নবাব সিরাজউদদৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করার জন্য মিঃলর্ড ক্লাইভ নদীপথে এসে এই কুঠিবাড়িতে রাত্রিযাপন করেন।
৩) চিনিকল (দর্শনা) ঃ বাংলাদেশের বিখ্যাত চিনিকল দর্শনা কোং এন্ড কোম্পানী। এটি দামুরহুদা উপজেলায় অবস্থিত। ১৯৩৮ সালে চিনি ও ডিস্টলারী সামগ্রী তৈরী করার জন্য এ চিনিকলটি স্থাপন করা হয়।
৪) রেলওয়ে স্টেশন (নীলমনিগঞ্জ) ঃ হাতে সময় থাকলে যাবেন নীলমনিগঞ্জ স্টেশনে। স্টেশনটি মোমিনপুরে অবস্থিত। সেখানকার অধিবাসীদের মুখে শুনবেন ১৮৬২ সালের ২৫ শিয়ালদহ হতে জাগতি রেলপথ চালু হয়। মোমিনপুরের কাছ দিয়ে রেল লাইন গেলেও স্টেশন ছিল ২ মাইল দূরে জমিদার মীলমনি নিজস্ব অর্থায়নে এ রেলরয়ে স্টেশন চালু করায় স্টেশনটির নাম নীলমনিগঞ্জ।
৫) রিভার ভিউ (নবগঙ্গা)ঃ নদী মাতৃক দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সকল জেলায় নদী দেখতে পারেন। চুয়াডাঙ্গাতে দেখবেন নরগঙ্গা। সেখানে গিয়ে জানবেন মাথাভাংগা হতে গঙ্গার নবরূপ, এখাবে নবগঙ্গার নামকরণ করা হয়েছে বলে অনুমিত হয়। চুয়াডাঙ্গা হতে মাগুডা পর্যন্ত  নরগঙ্গা অনাব্য এবং জলন্ত উদ্ভিরেদ পরিপূর্ণ তবে বর্ষা মৌসুমে নৌভ্রমণে কোন সমস্যা হবে না।
৬) বিবিধঃ উপরিউক্ত স্থানগুলো দেখার পর ইচ্ছে হলে দেখতে পারেন। ঘোলদাড়ি মসজিদ (১০০৬ খ্রিষ্ট্রাব্দ)। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ঘোদখালী মসজিদ, ঠাকুরগাঁও মসজিদ। শিরনগর মসজদি, হাজার দুয়ারী স্কুল (দামুরহুদা) ঘোলদাড়ি নীলকুঠি, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পেছনে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধের গণকবর, ১৮৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
ফিরে আসার সময় স্মৃতি হিসেবে নিয়ে আসতে পারেন দৈনিক মাথাভাঙ্গা দৈনিক প্রথম রাজধানী, সাপ্তাহিক চুয়াডাঙ্গা দর্পন, সাপ্তাহিক চুয়াডাঙ্গা সমাচার কিংবা সাপ্তাহিক দিন বদলের কাগজের ২/১ টি কপি, যা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে চুয়াডাঙ্গা ভ্রমনের সুসময় স্মৃতি।


Post a Comment

0 Comments

0

ঘুরে দেখুনঃ ৭১ এর রাজধানী মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা
মমিনুল ইসলাম মোল্লা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
১) সেচ প্রকল্পঃ চুয়াডাঙ্গাকে কৃষিজ সমৃদ্ধি দিয়েছে জিকে প্রকল্প। সেচ প্রকল্প বিভিন্ন খালের মাধ্যমে সেচের পানি মাঠে মাঠে পৌচ্ছে দিচ্ছে। এ প্রকল্প এলাকয় ২৫ হাজার ৯৭৩ হেক্টর জমি রয়েছে। 
২) কুঠি বাড়ি (কার্পাস ডাঙ্গা)ঃ চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন কার্পাসডাঙ্গা। এটি ছিল তৎকালীন মেদেনীপুর জমিদারী কোম্পানীর আঞ্চলিক সদর দপ্তর। এখানে ছিল ব্রিটিশ অফিসারদের বাসস্থান, কাছারী, ট্রেজারী, সিপাহীদের ফলক। পাশাপাশি রয়েছে জমিদারী আমলের দ্বিতল ভবন। কুঠিবাড়ীতে গেলে আপনার মনে পড়বে কুখ্যাত ক্লাইজের কথা, এটি মি. জেমস হিলক অবিভক্ত বাংলার বিখ্যাত মেদেনীপুর জমিদারী কোঃ লিঃ এর আঞ্চলিক সদর দপ্তর। সেখানে গিয়ে এলাকার লোকদের মুখে শুনবেন, নবাব সিরাজউদদৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করার জন্য মিঃলর্ড ক্লাইভ নদীপথে এসে এই কুঠিবাড়িতে রাত্রিযাপন করেন।
৩) চিনিকল (দর্শনা) ঃ বাংলাদেশের বিখ্যাত চিনিকল দর্শনা কোং এন্ড কোম্পানী। এটি দামুরহুদা উপজেলায় অবস্থিত। ১৯৩৮ সালে চিনি ও ডিস্টলারী সামগ্রী তৈরী করার জন্য এ চিনিকলটি স্থাপন করা হয়।
৪) রেলওয়ে স্টেশন (নীলমনিগঞ্জ) ঃ হাতে সময় থাকলে যাবেন নীলমনিগঞ্জ স্টেশনে। স্টেশনটি মোমিনপুরে অবস্থিত। সেখানকার অধিবাসীদের মুখে শুনবেন ১৮৬২ সালের ২৫ শিয়ালদহ হতে জাগতি রেলপথ চালু হয়। মোমিনপুরের কাছ দিয়ে রেল লাইন গেলেও স্টেশন ছিল ২ মাইল দূরে জমিদার মীলমনি নিজস্ব অর্থায়নে এ রেলরয়ে স্টেশন চালু করায় স্টেশনটির নাম নীলমনিগঞ্জ।
৫) রিভার ভিউ (নবগঙ্গা)ঃ নদী মাতৃক দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সকল জেলায় নদী দেখতে পারেন। চুয়াডাঙ্গাতে দেখবেন নরগঙ্গা। সেখানে গিয়ে জানবেন মাথাভাংগা হতে গঙ্গার নবরূপ, এখাবে নবগঙ্গার নামকরণ করা হয়েছে বলে অনুমিত হয়। চুয়াডাঙ্গা হতে মাগুডা পর্যন্ত  নরগঙ্গা অনাব্য এবং জলন্ত উদ্ভিরেদ পরিপূর্ণ তবে বর্ষা মৌসুমে নৌভ্রমণে কোন সমস্যা হবে না।
৬) বিবিধঃ উপরিউক্ত স্থানগুলো দেখার পর ইচ্ছে হলে দেখতে পারেন। ঘোলদাড়ি মসজিদ (১০০৬ খ্রিষ্ট্রাব্দ)। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ঘোদখালী মসজিদ, ঠাকুরগাঁও মসজিদ। শিরনগর মসজদি, হাজার দুয়ারী স্কুল (দামুরহুদা) ঘোলদাড়ি নীলকুঠি, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পেছনে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধের গণকবর, ১৮৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
ফিরে আসার সময় স্মৃতি হিসেবে নিয়ে আসতে পারেন দৈনিক মাথাভাঙ্গা দৈনিক প্রথম রাজধানী, সাপ্তাহিক চুয়াডাঙ্গা দর্পন, সাপ্তাহিক চুয়াডাঙ্গা সমাচার কিংবা সাপ্তাহিক দিন বদলের কাগজের ২/১ টি কপি, যা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে চুয়াডাঙ্গা ভ্রমনের সুসময় স্মৃতি।


Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.