মমিনুল ইসলাম মোল্লা ভ্রমনেচ্ছুক মানুষের একটু সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়েন এক জেলা থেকে অন্য জেলায়। রাজধানীর আরাম আয়েশ ছেড়ে দিয়ে ক্ষণিকের জন্য চলে যান শহর থেকে অনেক দূরে পাহাড়, বন, নদী-নালার আকর্ষনে। পাহাড়, নদী ও বিখ্যাত মসজিদ-মন্দির দেখতে মন চাইলে চলুন বেড়িয়ে আসি শেরপুর থেকে।
আপনি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ হয়ে শেরপুর যেতে পারেন। সেখানে গিয়ে জানবেন স¤্রাট আকবর ঈসা খাঁকে বাইশ পরগনার নেতৃত্ব দান করে দ্বাদশ পরিষদসহ বাংলায় প্রেরণ করেন। এই বারো জনের মধ্যে চার জন গাজী বংশীয়। গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী। এই শের আলী গাজীর নামেই জেলার নামকরণ করা হয়েছে শেরপুর। বহু আন্দোলন ও সংগ্রামের সাক্ষ্য বহনকারী শেরপুর দেশ স্বাধীন হলে জামালপুর সাবডিভিশনের অন্তর্ভূক্ত হয় এবং ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রæয়ারী জেলার পরিণত হয়। শেরপুরের দর্শণীয় স্থান সমূহঃ ১) পৌর শিশু পার্কঃ শেরপুর পৌঁছেই দেখে শুনে একটি ভাল হোটেলে উঠুন। ঐদিন দূরে কোথাও যাবেন না। শহরের কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে পারেন। এদিন আপনার সোনামনিকে নিয়ে শিশু পার্কে চলুন। দেখার মত তেমন কিছু না থাকলে ও ভ্রমনজনিত ক্লান্তি দূর হবে। এটি করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। ২) মসজিদঃ শেরপুরে বহু পুরাতন মসজিদ রয়েছে। এর মধ্যে বারোদুয়ারী মসজিদটি অনন্য। এটি শ্রীবর্দী উপজেলায় অবস্থিত। থানার গড়জরিপা বারোদুয়ারী মসজিদটি সবার নজর কাড়ে। এটি প্রাচীন কালের প্রততাত্তি¡ক নিদর্শন। এ মসজিদের ইটগুলো কারুকার্য খচিত। এর সামনের দিকে ৯টি দক্ষিণ দিকে দুটি এবং উত্তর দিকে ১টি সহ মোট ১২টি দরজা থাকায় এটি বারোদুয়ারী মসজিদ নামে পরিচিত। ৬০ দশকের প্রথম ভাগে জামালপুর জেলার পিংগলহাটির কুতুবগঞ্জ হাকানি দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আজিজুল হক সাহেব পূর্বপুরুষের মুখে এ মসজিদের কানিহী শুনে মসজিদটির সন্ধান করেন। মসজিদটি ডেবে যাওয়ার এবং ছাদের উপর বটগাছ থাকায় এটি দেখা যাচ্ছিলনা। পড়ে ঝড়ে গাছটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মসজিদটি ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে আগের ভিটির উপর আগের আদলে নতুন মসজিদটি নির্মিত হয়। ৩) মন্দিরঃ চীনা স্থাপত্য রীতিতে তৈরী কেশবপুরের নাট মন্দির দেখুন। কেশবপুরের নয়আনী জমিদার হিমাংশু রায় চৌধুরী এটি নির্মান করেন। এ মন্দির দু’শ বছরের পুরনো। এ মন্দিরটির বিশেষত্ব হচ্ছে সমস্ত মন্দিরটি কাঠ দিয়ে তৈরী। সেগুন ও মেহগনি কাঠ দিয়ে দ্বিতল ভবনটি বীনা কাঠমিস্ত্রিগন তৈরী করেছেন। টিনের চালের চুড়ায় একটি বিশেষ চোঙ্গ রয়েছে। চোঙ্গের মাথায় একটি পাখা ছিল। এগুলো সামান্য বাতাসে ঘোরার সময় মন্দিরের ভিতর আলো বাতাস খেলা করত। কাঠের দেয়ালে কারুকার্য করা রয়েছে। ছাদে অনেকগুলো ঝাড়বাতি রয়েছে। কাঠের ছাদে, দেয়ালে এবং থামগুলোতে চীনা কারিগরদের নিপুন হাতে তৈরী চিত্রকর্মগুলো আজও অমলিন। এত সুন্দরের মধ্যে কিছুটা অসুন্দর লুকিয়ে আছে। শোনা যায়, জমিদারগন অবাধ্য প্রজাদের হত্যা করে নাট মন্দিরের অন্ধকুপে নিক্ষেপ করত। ৪) জিউর মন্দিরঃ জেলার আরো একটি প্রাচীন মন্দির দেখুন জিউরে। এটি শহরের মুন্সীবাজার এলাকায় অবস্থিত। এ মন্দিরটি ১৭৭১ সালে নির্মান করা হয়। নির্মান করেন জমিদার সোদ নারায়ন। মন্দিরটি ১৮৯৭ সালের ভ‚মিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ মিন্দরের ধ্বংসাশেষ ও একটি ইঁদারা এখনও বর্তমান আছে। বর্তমান মন্দিরটিও আগের মন্দিরটির আদলে নির্মান করা হয়েছে। ৫) বিশাল বৃক্ষঃ আমরা গাছ-গাছালী দেখার জন্য বনে যাই। তবে বিশেষ কোন বৃক্ষ দেখার জন্য বন বাদেও যেতে পারেন নকলা উপজেলার নারায়ন খোলায়। এখানে একটি বিশাল শিমুল গাছ রয়েছে। এটি কে কখন লাগিয়েছিলেন কেউ বলতে পারে না। মুরুব্বীদের জিজ্ঞাসা করলে বলবেন, কি জানি বাবা, এই গাচ কে লাগাইছে জানিনা। আমরা ছোটকাল থেকেই গাছটি দেখে আসছি। এই গাছের ডাল-পালা ভাঙ্গলে নাকি নাক দিয়ে রক্ত পড়ে মারা যায়। তাই কেউ এর একটা পাতাও ছুয়ে দেখেনা’’। এ গাছটির বেড় ৮৪ হাত, উচ্চতা ৫০/৬০ হাত। গোড়া থেকে কামরাঙ্গার শিবের মতো বেরিয়ে আসা ৫টি শিব, ৮/১০ জন লোক বসে থাকার মতো ঘর তৈরী করেছে। মোটা মোটা ১০টি ডাল শাখা প্রশাখা বিস্তার করে রয়েছে তিন শতাংশ ভ‚মি জুড়ে। শেরপুরের দুঃখ চীনের দুঃখ হোয়াংহো আর শেরপুরের দুঃখ ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে পড়ে শেরপুর সদর থানার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের কুলুরচর, বেপারিপাড়া আজ বিলীয়মান। সমস্ত গ্রাম জুড়ে হাহাকার বিরাজ করছে। সেখানে গিয়ে জানবেন প্রতিবছরই কোন না কোন এলাকা ব্রহ্মপুত্র আপন কোলে টেনে নিচ্ছে। ১০ বছরে গ্রামের অর্ধেক বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। ৬) গজনী আকাশ কেন্দ্রঃ শেরপুর শহর থেকে টেম্পুতে চড়ে গজনী যেতে পারেন। আকা-বাকা পথ পেরিয়ে সবুজ বৃক্ষরাজীর ছোয়ায় আপনার ভাল লাগবে। এখানে একটি টাওয়ার দেখবেন। এটি ৭০-৮০ ফুট উচুঁ। এখান থেকে বহু দূরের দৃশ্য দেখতে পাবেন। ওখানে গিয়ে একটু সাবধানে থাকবেন। এখানে বন্য হাতি দেখা যায়। অনেক সময় এরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ে এবং জনগনের ক্ষতি সাধন করে। ৭) আদিবাসী এলাকাঃ গুনতে যদিও খারাপ লাগে, তারপরও একটি কঠিন সত্য হচ্ছে আজ আমরা যাদের উপজাতি বলি তারাই ছিলেন এই ভ‚খন্ডের আদিবাসী। আদিবাসীদের দেখা পাবেন শ্রীবরদী থানার নয়টি পাহাড়ি গ্রামে প্রায় দু’হাজারের মত গারো আদিবাসীর বসবাস রয়েছে। ভারতের মেঘালয় প্রদেশের সীমানা বরাবর এই এলাকা গারো পাহাড়ের একটি অংশ বিশেষ। আপনি ইচ্ছে করলে গারো পাহাড়ের পাদদেশে ভ্রমন করতে পারেন।
Post a Comment
0
Comments
Home
»
»Unlabelled
» অনিন্দ্য সুন্দর শেরপুর- কত দূর?
মমিনুল ইসলাম মোল্লা ভ্রমনেচ্ছুক মানুষের একটু সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়েন এক জেলা থেকে অন্য জেলায়। রাজধানীর আরাম আয়েশ ছেড়ে দিয়ে ক্ষণিকের জন্য চলে যান শহর থেকে অনেক দূরে পাহাড়, বন, নদী-নালার আকর্ষনে। পাহাড়, নদী ও বিখ্যাত মসজিদ-মন্দির দেখতে মন চাইলে চলুন বেড়িয়ে আসি শেরপুর থেকে।
আপনি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ হয়ে শেরপুর যেতে পারেন। সেখানে গিয়ে জানবেন স¤্রাট আকবর ঈসা খাঁকে বাইশ পরগনার নেতৃত্ব দান করে দ্বাদশ পরিষদসহ বাংলায় প্রেরণ করেন। এই বারো জনের মধ্যে চার জন গাজী বংশীয়। গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী। এই শের আলী গাজীর নামেই জেলার নামকরণ করা হয়েছে শেরপুর। বহু আন্দোলন ও সংগ্রামের সাক্ষ্য বহনকারী শেরপুর দেশ স্বাধীন হলে জামালপুর সাবডিভিশনের অন্তর্ভূক্ত হয় এবং ১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রæয়ারী জেলার পরিণত হয়। শেরপুরের দর্শণীয় স্থান সমূহঃ ১) পৌর শিশু পার্কঃ শেরপুর পৌঁছেই দেখে শুনে একটি ভাল হোটেলে উঠুন। ঐদিন দূরে কোথাও যাবেন না। শহরের কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে পারেন। এদিন আপনার সোনামনিকে নিয়ে শিশু পার্কে চলুন। দেখার মত তেমন কিছু না থাকলে ও ভ্রমনজনিত ক্লান্তি দূর হবে। এটি করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। ২) মসজিদঃ শেরপুরে বহু পুরাতন মসজিদ রয়েছে। এর মধ্যে বারোদুয়ারী মসজিদটি অনন্য। এটি শ্রীবর্দী উপজেলায় অবস্থিত। থানার গড়জরিপা বারোদুয়ারী মসজিদটি সবার নজর কাড়ে। এটি প্রাচীন কালের প্রততাত্তি¡ক নিদর্শন। এ মসজিদের ইটগুলো কারুকার্য খচিত। এর সামনের দিকে ৯টি দক্ষিণ দিকে দুটি এবং উত্তর দিকে ১টি সহ মোট ১২টি দরজা থাকায় এটি বারোদুয়ারী মসজিদ নামে পরিচিত। ৬০ দশকের প্রথম ভাগে জামালপুর জেলার পিংগলহাটির কুতুবগঞ্জ হাকানি দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আজিজুল হক সাহেব পূর্বপুরুষের মুখে এ মসজিদের কানিহী শুনে মসজিদটির সন্ধান করেন। মসজিদটি ডেবে যাওয়ার এবং ছাদের উপর বটগাছ থাকায় এটি দেখা যাচ্ছিলনা। পড়ে ঝড়ে গাছটি ভেঙ্গে যাওয়ায় মসজিদটি ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে আগের ভিটির উপর আগের আদলে নতুন মসজিদটি নির্মিত হয়। ৩) মন্দিরঃ চীনা স্থাপত্য রীতিতে তৈরী কেশবপুরের নাট মন্দির দেখুন। কেশবপুরের নয়আনী জমিদার হিমাংশু রায় চৌধুরী এটি নির্মান করেন। এ মন্দির দু’শ বছরের পুরনো। এ মন্দিরটির বিশেষত্ব হচ্ছে সমস্ত মন্দিরটি কাঠ দিয়ে তৈরী। সেগুন ও মেহগনি কাঠ দিয়ে দ্বিতল ভবনটি বীনা কাঠমিস্ত্রিগন তৈরী করেছেন। টিনের চালের চুড়ায় একটি বিশেষ চোঙ্গ রয়েছে। চোঙ্গের মাথায় একটি পাখা ছিল। এগুলো সামান্য বাতাসে ঘোরার সময় মন্দিরের ভিতর আলো বাতাস খেলা করত। কাঠের দেয়ালে কারুকার্য করা রয়েছে। ছাদে অনেকগুলো ঝাড়বাতি রয়েছে। কাঠের ছাদে, দেয়ালে এবং থামগুলোতে চীনা কারিগরদের নিপুন হাতে তৈরী চিত্রকর্মগুলো আজও অমলিন। এত সুন্দরের মধ্যে কিছুটা অসুন্দর লুকিয়ে আছে। শোনা যায়, জমিদারগন অবাধ্য প্রজাদের হত্যা করে নাট মন্দিরের অন্ধকুপে নিক্ষেপ করত। ৪) জিউর মন্দিরঃ জেলার আরো একটি প্রাচীন মন্দির দেখুন জিউরে। এটি শহরের মুন্সীবাজার এলাকায় অবস্থিত। এ মন্দিরটি ১৭৭১ সালে নির্মান করা হয়। নির্মান করেন জমিদার সোদ নারায়ন। মন্দিরটি ১৮৯৭ সালের ভ‚মিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ মিন্দরের ধ্বংসাশেষ ও একটি ইঁদারা এখনও বর্তমান আছে। বর্তমান মন্দিরটিও আগের মন্দিরটির আদলে নির্মান করা হয়েছে। ৫) বিশাল বৃক্ষঃ আমরা গাছ-গাছালী দেখার জন্য বনে যাই। তবে বিশেষ কোন বৃক্ষ দেখার জন্য বন বাদেও যেতে পারেন নকলা উপজেলার নারায়ন খোলায়। এখানে একটি বিশাল শিমুল গাছ রয়েছে। এটি কে কখন লাগিয়েছিলেন কেউ বলতে পারে না। মুরুব্বীদের জিজ্ঞাসা করলে বলবেন, কি জানি বাবা, এই গাচ কে লাগাইছে জানিনা। আমরা ছোটকাল থেকেই গাছটি দেখে আসছি। এই গাছের ডাল-পালা ভাঙ্গলে নাকি নাক দিয়ে রক্ত পড়ে মারা যায়। তাই কেউ এর একটা পাতাও ছুয়ে দেখেনা’’। এ গাছটির বেড় ৮৪ হাত, উচ্চতা ৫০/৬০ হাত। গোড়া থেকে কামরাঙ্গার শিবের মতো বেরিয়ে আসা ৫টি শিব, ৮/১০ জন লোক বসে থাকার মতো ঘর তৈরী করেছে। মোটা মোটা ১০টি ডাল শাখা প্রশাখা বিস্তার করে রয়েছে তিন শতাংশ ভ‚মি জুড়ে। শেরপুরের দুঃখ চীনের দুঃখ হোয়াংহো আর শেরপুরের দুঃখ ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে পড়ে শেরপুর সদর থানার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের কুলুরচর, বেপারিপাড়া আজ বিলীয়মান। সমস্ত গ্রাম জুড়ে হাহাকার বিরাজ করছে। সেখানে গিয়ে জানবেন প্রতিবছরই কোন না কোন এলাকা ব্রহ্মপুত্র আপন কোলে টেনে নিচ্ছে। ১০ বছরে গ্রামের অর্ধেক বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। ৬) গজনী আকাশ কেন্দ্রঃ শেরপুর শহর থেকে টেম্পুতে চড়ে গজনী যেতে পারেন। আকা-বাকা পথ পেরিয়ে সবুজ বৃক্ষরাজীর ছোয়ায় আপনার ভাল লাগবে। এখানে একটি টাওয়ার দেখবেন। এটি ৭০-৮০ ফুট উচুঁ। এখান থেকে বহু দূরের দৃশ্য দেখতে পাবেন। ওখানে গিয়ে একটু সাবধানে থাকবেন। এখানে বন্য হাতি দেখা যায়। অনেক সময় এরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ে এবং জনগনের ক্ষতি সাধন করে। ৭) আদিবাসী এলাকাঃ গুনতে যদিও খারাপ লাগে, তারপরও একটি কঠিন সত্য হচ্ছে আজ আমরা যাদের উপজাতি বলি তারাই ছিলেন এই ভ‚খন্ডের আদিবাসী। আদিবাসীদের দেখা পাবেন শ্রীবরদী থানার নয়টি পাহাড়ি গ্রামে প্রায় দু’হাজারের মত গারো আদিবাসীর বসবাস রয়েছে। ভারতের মেঘালয় প্রদেশের সীমানা বরাবর এই এলাকা গারো পাহাড়ের একটি অংশ বিশেষ। আপনি ইচ্ছে করলে গারো পাহাড়ের পাদদেশে ভ্রমন করতে পারেন।
Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.
0 Comments