ঘুরে আসুন ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল
মমিনুল ইসলাম মোল্লা।স্বর্ণ প্রসবিণী টাঙ্গাইল। এই টাঙ্গাইল জন্ম দিয়েছে অনেক কৃতি সন্তান, ধারণ করেছে সমৃদ্বশালী ইতিহাস ও ঐতিহ্য। টাঙ্গাইলের নামকরণ প্রসঙ্গে জানা যায়, সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে নবাব শায়েস্তা খান ছিলেন বাংলার সুবেদার। এ সময় মগ-পুর্তগীজ জলদস্যুদের হামলা চরমে পৌছলে তিনি মোঘলদের সহযোগে একটি শক্তি-শালী নৌবাহিনী গড়ে তোলেন। এক সময় এ বাহিনী ভেঙ্গে গেলে এদের অনেকেই লৌহজং এলাকায় বাস করতে শুরু করেন। মুঘলরা এ নতুন এলাকার নাম দিলেন ধর্মপুর টাঙ্গাইল। কথায় বলে “কাগমারীর দই, গজারির বন, তাঁতের শাড়ী আর খ্যাত চমচম ভাসানী টাঙ্গাইলের গরবের ধন। চলুন না ঘুরে আসি টাঙ্গাইল থেকে।
যেভাবে যাবেনঃ বাস অথবা কোষ্টারে করে আপনি টাঙ্গাইল যেতে পারেন। ঢাকার মহাখালীস্থ বাস ষ্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করুন। টাঙ্গাইল পৌছাতে সময় লাগবে মাত্র ৩ ঘন্টা।
যা যা দেখবেনঃ ¬¬¬¬সন্তোষ জমিদার বাড়ীঃ টাঙ্গাই শহর থেকে মাত্র ২ মাইল দূরে সন্তোষ জমিদার বাড়ী। সেখানে রিক্সায় যেতে পারেন। ভাড়া নিবে মাত্র ১০ টাকা। এখানে এসে জানতে পারবেন মোঘল স¤্রাট শাহ্ জাহানের আমলে একজন কামেল পীর কাগমারী পরগনার মালিকানা লাভ করেছিলেন। পরবর্তীতে কাগমারী পরগনা সন্তোষে স্থানান্তরিত হয়। ১৮৭০ সালে জমিদাররা গড়ে তোলেন জেলার প্রথম ইংরেজী স্কুল। জমিদার বহু জন কল্যাণের কাজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোল্লে ও তারা প্রজানীপিড়ক ছিলেন। বাড়ীর সামনে দিয়ে কেউ ছাতা মাথায় কিংবা জুতা পায়ে দিয়ে গেলে শাস্তি ভোগ করতেন।
আতিয়ার মসজিদঃ এবার আট কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে চলে আসুন। এখানেই বিখ্যাত আতিয়া জামে মসজিদ অবস্থিত। ১০ টাকা নোট থাকলে মিলিয়ে নিতে পারেন। এ মসজিদটি ১৬০৯ সালে করাটিয়ার জমিদার বাইজিদ খাঁন পল্লীর পুত্র সাঈদ খান পন্নী কর্তৃক নির্মিত হয়। ১৯০৯ সালে গজনবী খাঁন ওয়াজেদ আলী খাঁন পন্নী ও অন্যান্যদের চেষ্টায় মসজিদটি পূনঃ নির্মান করা হয়। আয়তাকার এ মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৫৯ ফুট প্রস্থ্য ৪০ ফুট, একটি গম্বুভ এবং চার কোণে সু-উচ্চ মিনার আছে। মসজিদটির পূর্ব দিকে খিলান যুক্ত তিনটি প্রবেশদার একটি অন্যটি থেকে প্যানেল দ্বারা বিভক্ত। কানিসের উপরের অংশ গভীর ভাবে খোদিত এবং দেওয়াল ছিদ্র যুক্ত। পিপাকৃত শীর্ষদেশ খুব উচুঁ মসজিদটিতে মোগল পূর্ব যুগের রীতির চমৎকার সংমিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়।
0 Comments