ঘুরে দেখুন ভাওয়াল রাজার গাজিপুর

ঘুরে দেখুন ভাওয়াল রাজার গাজিপুর
বর্তমানে আমরা সবাই ব্যস্ত কেউ দুমুঠো ভাতের জন্য, কেউ সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য আমরা আমাদের পেশাতে কাঁঠালের আঠার মতো লেগে আছি।
গ্রহ-উপগ্রহগুলো যেমন নির্দিষ্ট আবর্তে ঘুরে, তেমনি আমরাও কোন না কোন কাজে প্রতিদিন নিয়োজিত থাকি। এধরনের এক ঘেয়ে জীবন যাপনে আমাদের দেহ-মন কান্ত হয়ে যায়। তখন মন চায়- কোথাও থেকে একটু বেরিয়ে আসি। কিন্তু মন চাইলেই তো হয় না; মন তো কত কিছুই চায়। আমরা কি মনের সব আশা পূরণ করতে পারি? যারা সব সময় ব্যস্ত থাকেন তাদের যেমন প্রয়োজন, ঠিক কম ব্যস্তদের ও প্রয়োজন অবসর পেলে কোথাও থেকে বেরিয়ে আসা। আমরা বার ঘন্টা কাজ করেও যদি একটু ঘুমোই তাহলে আবার পূর্ন কর্মশক্তি ফিরে পাই। তেমনি গ্রামের মানুষ শহরে, শহরের মানুষ গ্রামে সমতল মানুষ পাহার নদী-নালা, হাওরাঞ্চলের লোকেরা বন-বাদারে ঘুরে বেরালে মন ও শরীর দুই-ই ভাল থাকবে। ধরি, আপনি অনেক কষ্ট করে কিছু সময় ও অর্থ জোগার করেছেন। কিন্তু যাবেন কোথায়? সর্বত্র নিরাপত্তাহীনতা, খাই-খাই পার্টিও আনাগোনা ও বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা আপনার মনে সবসময় উকি দিচ্ছে এর একটাই আমদের পর্যটন কেন্দ্রগুলো অরক্ষীত। এখানে বিদেশীর এসেও হয়রানী হয়। আপনার আমার সমস্যা গুলো প্রায় একই রকম। এর কারণ একটাই; আর সেটি হচ্ছে আমাদের দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি ভাল নয়। আপনি দেশের বাইরে যতটা নিরাপদ মনে করেন দেশে ততটা করেন না। এ যেনো ঘরের শত্রু বিভাষণ। আমাদের এই সমস্যা গুলো ফিল করেন সামসুল আলম চৌধুরী। তিনি মালয়েশিয়া ঘুরে এসে বাংলাদেশে বেসরকারী ভাবে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। দীর্ঘদিদন পরিশ্রম করে দেশী-বিদেশী দুর্লভ জিনিসের সমন্বয়ে গাজীপুরে গড়ে তোলেন একটি পিকনিক স্পট পুষ্পদান। এখানে ভ্রমনের ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ নিরাপত্তা পাবেন। তাই আর দেরি নয়। এক্ষুনি চলুন পুষ্পদানসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থান দেখতে গাজীপুরে।


কিভাবে যাবেন ? ঢাকা  থেকে গাজীপুর যেতে পারেন সড়ক ও রেল পথে। ঢাকা থেকে চলাচল করা প্রায় সব ট্রেন গাজীপুর থামে। চলাচলকারী বাস এর নামঃ যাত্রাবাড়ী থেকেঃ অনাবিল, ছালছাবিল,মতিঝিল থেকেঃ গাজীপুর, ভাওয়াল, অনিক পরিবহন,সদরঘাট থেকেঃ আজমেরি, স্কাইলাইন পরিবহন গুলিস্থান থেকেঃ প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন। ভাড়াঃ ৪০-৬০ টাকা

সেখানে গিয়ে চা খেতে খেতে এ জেলার নামকরণ প্রসঙ্গে জানবেন, সম্রাট আকবরের সময় চব্বিশ পরগনার জায়গিরদার ছিলেন ঈশা খাঁ। এই ঈশা খাঁরই একজন অনুসারীর ছেলের নাম ছিল ফজল গাজী। যিনি ছিলেন ভাওয়াল রাজ্যের প্রথম ‘প্রধান’। তারই নাম বা নামের সঙ্গে যুক্ত ‘গাজী’ পদবি থেকে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় গাজীপুর। উল্লেখ্য, এখনো অতীতকাতর-ঐতিহ্যমুখী স্থানীয়দের অনেকেই জেলাকে ‘জয়দেবপুর’ বলেই উল্লেখ করে থাকেন। গাজীপুর সদরের রেলওয়ে স্টেশনের নাম এখনো ‘জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন’। তবে বিস্তারিত আলোচনায় গেলে বলতেই হয়, গাজীপুরের আগের নাম জয়দেবপুর এবং তারও আগের নাম ভাওয়াল। গাজীপুরকে ১৯৮৪খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ জেলা এবং ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারী রোজ: সোমবার সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয়।

যা যা দেখবেন পুষ্পদানঃ  পুষ্পদানে ঢুকলেই মনে হবে না আপনি বাংলাদেশে আছেন। মনে হবে পৃথিবীর কোন বিখ্যাত পিকনিক স্পটে আপনি অবস্থান করছেন, পাম্প, ঝাউ,সুসুন্ডা,নীল পারুল, ডালিয়া, ও দেশী-বেদেশী গোলাপ আপনাকে স্বাগত জানাবে। মনোরম দ্বিতল বাংলো, সুভোশিত খেলার মাঠ, ইট বিছানো পথের ধারে পা তোলা ঘোড়ার মূর্তি, রঙ্গিন ফোয়ারা ও আর্টিফিসিয়াল লেক আপনার মনকে ভরিয়ে দেবে। আরা আগে কেন এলাম না, এই ভেবে আফসোস করবেন।

২) রাজবাড়িঃ ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পাশেই দেখুন ভ্রায়াল রাজার বাড়ি। চৌরাস্তা থেকে ৩ মাইল পূর্বে গেলেই চলবে। রাজবাড়িটি এখন জেলা প্রশাসনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

৩) ইজতেমা ময়দানঃ বছরের একটা নির্দিষ্ট দিনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহুদেশের লোক গাজীপুরে যায়। আখেরী মুনাজাত শেষে বাড়ি ফিরে। হ্যাঁ, আমি বিশ্ব এজতেমার কথা বলছিলাম। আপনি একসময় গাজীপুর ভ্রমনের পরিকল্পনা করলেও মন্দ হয় না ইজতেমা শেষে বাকী স্পটগুলো ঘুরে বেরাতে পারবেন। তুরাগ নদীর তীরে প্রায় ৫ কিঃ মিঃ এলাকা জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মহামিলন ঘটে। ১৯৪৬ সালে ঢাকার কাকরাইলে ইজতেমা শুরু হলেও ১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীতেই হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা।

৪) সফীপুরঃ বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র সফীপুর আনসার একাডেমী। আনসার একাডেমীতে ঢুকেই আপনি পারমিশন কার্ড দেখাবেন। আপনি একে একে দেখে নিন কুহেলী স্পট, মধুবন স্পট, সুন্দরবন স্পট সহ প্রভৃতি স্থান নিন। দেখার সাথে সাথে এই আনন্দময় স্মৃতিকে যদি একা একা ঘুরতে যান তাতেও কোন সমস্যা নেই। আপনার সমবয়সী অনেক সেখানে পাবেন। যে কোন একজনের হাতে ক্যামেরাটি দিন। আপনার স্মরনীয় মুহুর্তগুলো ধরে রাখুন। বিশেষ কওে উচু পাহাড়ে উঠে ঝর্নার পাশে ব্রীজের উপরে উঠে ছবি ওঠাবেন।

৫) শালনাঃ পর্যটন কর্পোরেশনের আওতাধীন শালনা জয়জেবপুর যেতে পারেন। শালনা ঢাকা- ময়মনসিংহ রোডের পাশে শালবনের ভেতর অবস্থিত। প্রায় সাত বিঘা জায়গা জুড়ে অবস্থিত স্পটটি সুরক্ষিত। পর্যটন কর্পোরেশনের বুকিং নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন চারটি ছাউনিঘর। এখান বচ্চাদের খেলনার জন্য  খেলনা, ঢেঁকিসহ অনেক কিছু পাবেন। এছাড়া গাজীপুর থেকে ১৭ কিঃ মিঃ পশ্চিমে চন্দ্রায় যেতে পাবেন।

৬) মনিপুর স্পটঃ  এটি গাজীপুরের  জয়দেবপুরের মনিপুরে অবস্থিত। গ্রামীণ পরিবেশে এখানে আছে ফুর ও ফল গাছে সাজানো জলধার সমন্বিত পিকনিক স্পট। এখানে রান্নাঘর, টয়লেট, ডাইনিং হল, রেস্টুরেন্টসহ আধুনিক পর্যটনকেন্দ্রের সকল সুযোগ সুবধিা পাবেন।

৭) ভাওয়ালঃ  গাজীপুরের ভাওয়াল উদ্যান একটি মনোরম স্থান। ঢাকা- ময়মনসিংহ রোডের পাশে এটি অবস্থিত। এটি ন্যাশনাল পার্ক নামে পরিচিত। ১৯৭৪ সালে ১২ হাজার একর জমির উপর প্রাকৃতিক গাছ-গাছালীর মাধ্যমে মনোমুগ্ধকর স্থানে পরিনত করা হয়। এখানে ৪৭টি পিকনিক স্পট রয়েছে।

কোথায় থাকবেন ? ইচ্ছে করলে ঢাকায় এসই কোন ভাল হোটেলে থাকতে পারেন ; তবে গাজীপুওে থাকতে মন চাইলে আপনি ডাক বাংলো,( সরকারি)  জয়দেবপুর, আল মদিনা আবাসিক হোটেল, (জয়দেবপুর), হোটেল অনামিকা, (ইসলামিয়া মার্কেট ৩য় তলা, টংগী, হোটেল), ড্রীম ল্যান্ড আবাসিক, (কোনাবাড়ী), হোটেল এলিজা ইন্টারন্যাশনাল,( জয়দেবপুর), মঞ্জুরী হোটেল, (টংগী বাজার), হোটেল রাজ মনি অথবা হোটেল ইশাখায়ঁ,  (জয়দেবপুর চৌরাস্তা) রাত্রি যাপন করতে পারেন।

লেখক: মমিনুল ইসলাম মোল্লা,প্রভাষক, ক্যাম্পেনার সিডিএলজি এবং সহকারী সম্পাদক , দৃষ্টান্ত ডট কম

Post a Comment

0 Comments

0
ঘুরে দেখুন ভাওয়াল রাজার গাজিপুর
বর্তমানে আমরা সবাই ব্যস্ত কেউ দুমুঠো ভাতের জন্য, কেউ সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য আমরা আমাদের পেশাতে কাঁঠালের আঠার মতো লেগে আছি।
গ্রহ-উপগ্রহগুলো যেমন নির্দিষ্ট আবর্তে ঘুরে, তেমনি আমরাও কোন না কোন কাজে প্রতিদিন নিয়োজিত থাকি। এধরনের এক ঘেয়ে জীবন যাপনে আমাদের দেহ-মন কান্ত হয়ে যায়। তখন মন চায়- কোথাও থেকে একটু বেরিয়ে আসি। কিন্তু মন চাইলেই তো হয় না; মন তো কত কিছুই চায়। আমরা কি মনের সব আশা পূরণ করতে পারি? যারা সব সময় ব্যস্ত থাকেন তাদের যেমন প্রয়োজন, ঠিক কম ব্যস্তদের ও প্রয়োজন অবসর পেলে কোথাও থেকে বেরিয়ে আসা। আমরা বার ঘন্টা কাজ করেও যদি একটু ঘুমোই তাহলে আবার পূর্ন কর্মশক্তি ফিরে পাই। তেমনি গ্রামের মানুষ শহরে, শহরের মানুষ গ্রামে সমতল মানুষ পাহার নদী-নালা, হাওরাঞ্চলের লোকেরা বন-বাদারে ঘুরে বেরালে মন ও শরীর দুই-ই ভাল থাকবে। ধরি, আপনি অনেক কষ্ট করে কিছু সময় ও অর্থ জোগার করেছেন। কিন্তু যাবেন কোথায়? সর্বত্র নিরাপত্তাহীনতা, খাই-খাই পার্টিও আনাগোনা ও বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা আপনার মনে সবসময় উকি দিচ্ছে এর একটাই আমদের পর্যটন কেন্দ্রগুলো অরক্ষীত। এখানে বিদেশীর এসেও হয়রানী হয়। আপনার আমার সমস্যা গুলো প্রায় একই রকম। এর কারণ একটাই; আর সেটি হচ্ছে আমাদের দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি ভাল নয়। আপনি দেশের বাইরে যতটা নিরাপদ মনে করেন দেশে ততটা করেন না। এ যেনো ঘরের শত্রু বিভাষণ। আমাদের এই সমস্যা গুলো ফিল করেন সামসুল আলম চৌধুরী। তিনি মালয়েশিয়া ঘুরে এসে বাংলাদেশে বেসরকারী ভাবে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। দীর্ঘদিদন পরিশ্রম করে দেশী-বিদেশী দুর্লভ জিনিসের সমন্বয়ে গাজীপুরে গড়ে তোলেন একটি পিকনিক স্পট পুষ্পদান। এখানে ভ্রমনের ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ নিরাপত্তা পাবেন। তাই আর দেরি নয়। এক্ষুনি চলুন পুষ্পদানসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থান দেখতে গাজীপুরে।


কিভাবে যাবেন ? ঢাকা  থেকে গাজীপুর যেতে পারেন সড়ক ও রেল পথে। ঢাকা থেকে চলাচল করা প্রায় সব ট্রেন গাজীপুর থামে। চলাচলকারী বাস এর নামঃ যাত্রাবাড়ী থেকেঃ অনাবিল, ছালছাবিল,মতিঝিল থেকেঃ গাজীপুর, ভাওয়াল, অনিক পরিবহন,সদরঘাট থেকেঃ আজমেরি, স্কাইলাইন পরিবহন গুলিস্থান থেকেঃ প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন। ভাড়াঃ ৪০-৬০ টাকা

সেখানে গিয়ে চা খেতে খেতে এ জেলার নামকরণ প্রসঙ্গে জানবেন, সম্রাট আকবরের সময় চব্বিশ পরগনার জায়গিরদার ছিলেন ঈশা খাঁ। এই ঈশা খাঁরই একজন অনুসারীর ছেলের নাম ছিল ফজল গাজী। যিনি ছিলেন ভাওয়াল রাজ্যের প্রথম ‘প্রধান’। তারই নাম বা নামের সঙ্গে যুক্ত ‘গাজী’ পদবি থেকে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় গাজীপুর। উল্লেখ্য, এখনো অতীতকাতর-ঐতিহ্যমুখী স্থানীয়দের অনেকেই জেলাকে ‘জয়দেবপুর’ বলেই উল্লেখ করে থাকেন। গাজীপুর সদরের রেলওয়ে স্টেশনের নাম এখনো ‘জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন’। তবে বিস্তারিত আলোচনায় গেলে বলতেই হয়, গাজীপুরের আগের নাম জয়দেবপুর এবং তারও আগের নাম ভাওয়াল। গাজীপুরকে ১৯৮৪খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ জেলা এবং ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারী রোজ: সোমবার সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয়।

যা যা দেখবেন পুষ্পদানঃ  পুষ্পদানে ঢুকলেই মনে হবে না আপনি বাংলাদেশে আছেন। মনে হবে পৃথিবীর কোন বিখ্যাত পিকনিক স্পটে আপনি অবস্থান করছেন, পাম্প, ঝাউ,সুসুন্ডা,নীল পারুল, ডালিয়া, ও দেশী-বেদেশী গোলাপ আপনাকে স্বাগত জানাবে। মনোরম দ্বিতল বাংলো, সুভোশিত খেলার মাঠ, ইট বিছানো পথের ধারে পা তোলা ঘোড়ার মূর্তি, রঙ্গিন ফোয়ারা ও আর্টিফিসিয়াল লেক আপনার মনকে ভরিয়ে দেবে। আরা আগে কেন এলাম না, এই ভেবে আফসোস করবেন।

২) রাজবাড়িঃ ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পাশেই দেখুন ভ্রায়াল রাজার বাড়ি। চৌরাস্তা থেকে ৩ মাইল পূর্বে গেলেই চলবে। রাজবাড়িটি এখন জেলা প্রশাসনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

৩) ইজতেমা ময়দানঃ বছরের একটা নির্দিষ্ট দিনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহুদেশের লোক গাজীপুরে যায়। আখেরী মুনাজাত শেষে বাড়ি ফিরে। হ্যাঁ, আমি বিশ্ব এজতেমার কথা বলছিলাম। আপনি একসময় গাজীপুর ভ্রমনের পরিকল্পনা করলেও মন্দ হয় না ইজতেমা শেষে বাকী স্পটগুলো ঘুরে বেরাতে পারবেন। তুরাগ নদীর তীরে প্রায় ৫ কিঃ মিঃ এলাকা জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মহামিলন ঘটে। ১৯৪৬ সালে ঢাকার কাকরাইলে ইজতেমা শুরু হলেও ১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীতেই হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা।

৪) সফীপুরঃ বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র সফীপুর আনসার একাডেমী। আনসার একাডেমীতে ঢুকেই আপনি পারমিশন কার্ড দেখাবেন। আপনি একে একে দেখে নিন কুহেলী স্পট, মধুবন স্পট, সুন্দরবন স্পট সহ প্রভৃতি স্থান নিন। দেখার সাথে সাথে এই আনন্দময় স্মৃতিকে যদি একা একা ঘুরতে যান তাতেও কোন সমস্যা নেই। আপনার সমবয়সী অনেক সেখানে পাবেন। যে কোন একজনের হাতে ক্যামেরাটি দিন। আপনার স্মরনীয় মুহুর্তগুলো ধরে রাখুন। বিশেষ কওে উচু পাহাড়ে উঠে ঝর্নার পাশে ব্রীজের উপরে উঠে ছবি ওঠাবেন।

৫) শালনাঃ পর্যটন কর্পোরেশনের আওতাধীন শালনা জয়জেবপুর যেতে পারেন। শালনা ঢাকা- ময়মনসিংহ রোডের পাশে শালবনের ভেতর অবস্থিত। প্রায় সাত বিঘা জায়গা জুড়ে অবস্থিত স্পটটি সুরক্ষিত। পর্যটন কর্পোরেশনের বুকিং নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন চারটি ছাউনিঘর। এখান বচ্চাদের খেলনার জন্য  খেলনা, ঢেঁকিসহ অনেক কিছু পাবেন। এছাড়া গাজীপুর থেকে ১৭ কিঃ মিঃ পশ্চিমে চন্দ্রায় যেতে পাবেন।

৬) মনিপুর স্পটঃ  এটি গাজীপুরের  জয়দেবপুরের মনিপুরে অবস্থিত। গ্রামীণ পরিবেশে এখানে আছে ফুর ও ফল গাছে সাজানো জলধার সমন্বিত পিকনিক স্পট। এখানে রান্নাঘর, টয়লেট, ডাইনিং হল, রেস্টুরেন্টসহ আধুনিক পর্যটনকেন্দ্রের সকল সুযোগ সুবধিা পাবেন।

৭) ভাওয়ালঃ  গাজীপুরের ভাওয়াল উদ্যান একটি মনোরম স্থান। ঢাকা- ময়মনসিংহ রোডের পাশে এটি অবস্থিত। এটি ন্যাশনাল পার্ক নামে পরিচিত। ১৯৭৪ সালে ১২ হাজার একর জমির উপর প্রাকৃতিক গাছ-গাছালীর মাধ্যমে মনোমুগ্ধকর স্থানে পরিনত করা হয়। এখানে ৪৭টি পিকনিক স্পট রয়েছে।

কোথায় থাকবেন ? ইচ্ছে করলে ঢাকায় এসই কোন ভাল হোটেলে থাকতে পারেন ; তবে গাজীপুওে থাকতে মন চাইলে আপনি ডাক বাংলো,( সরকারি)  জয়দেবপুর, আল মদিনা আবাসিক হোটেল, (জয়দেবপুর), হোটেল অনামিকা, (ইসলামিয়া মার্কেট ৩য় তলা, টংগী, হোটেল), ড্রীম ল্যান্ড আবাসিক, (কোনাবাড়ী), হোটেল এলিজা ইন্টারন্যাশনাল,( জয়দেবপুর), মঞ্জুরী হোটেল, (টংগী বাজার), হোটেল রাজ মনি অথবা হোটেল ইশাখায়ঁ,  (জয়দেবপুর চৌরাস্তা) রাত্রি যাপন করতে পারেন।

লেখক: মমিনুল ইসলাম মোল্লা,প্রভাষক, ক্যাম্পেনার সিডিএলজি এবং সহকারী সম্পাদক , দৃষ্টান্ত ডট কম

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.